ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

অবসর নিতে ওয়্যাগনারকে বাধ্য করা হয়েছে , দাবি টেইলরের
অনলাইন ডেস্ক
নিল ওয়্যাগনার

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিল ওয়্যাগনারের অবসর নেওয়ার পুরো বিষয়টি ভালোভাবে নিতে পারছেন না রস টেইলর। এ নিয়ে বিস্ফোরক এক মন্তব্য করেছেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক এই অধিনায়ক। তার দাবি, ক্যারিয়ারের ইতি টানার জন্য বাঁহাতি ফাস্ট বোলারকে বাধ্য করা হয়েছে।

ওয়্যাগনারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বলতে কেবল ছিল টেস্ট ক্রিকেটই। এই সংস্করণে ৬৪ ম্যাচের সবশেষটি খেলেন তিনি গত ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে। হ্যামিল্টনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওই ম্যাচে দুই ইনিংসে একটি করে উইকেট নেন ৩৮ ছুঁইছুঁই এই পেসার।

ওই সিরিজের পর কিউই কোচ গ্যারি স্টেডের সঙ্গে আলোচনায় ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ দেখে ফেলেন ওয়্যাগনার। তখন বুঝতে পারেন বেজে গেছে শেষের ঘণ্টা। এরপর যখন জানতে পারেন, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চলমান সিরিজের বিবেচনায় নেই তিনি, তখনই নিয়ে ফেলেন বিদায় বলে দেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি কোচকে পাশে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে অশ্রুভেজা চোখে অবসরের ঘোষণা দেন ওয়্যাগনার। টেইলরের মতে, ইচ্ছের বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার এক সময়ের সতীর্থ। ইএসপিএনের ‘অ্যারাউন্ড দা উইকেট’ পডকাস্টে বললেন, অস্ট্রেলিয়া সিরিজে খেলতে চেয়েছিলেন ওয়্যাগনার।

টেইলর বলেন, “আমার মনে হয়, এখন সবকিছু খানিকটা বোঝা যাচ্ছে। এখন আর এখানে কোনো আড়াল নেই; আমার কাছে মনে হয় অবসরের জন্য তাকে (ওয়্যাগনার) বাধ্য করা হয়েছে। ওয়্যাগনারের সংবাদ সম্মেলন যদি শোনেন, সে অবসরের ঘোষণা দিয়েছে, কিন্তু সেটা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ টেস্টের পর। সিরিজটির জন্য নিজেকে সে প্রস্তুত রেখেছিল।”

অবসরের ঘোষণা দেওয়ার পরও ওয়েলিংটনে প্রথম টেস্টের স্কোয়াডে ওয়্যাগনারকে রাখে নিউ জিল্যান্ড। ওই ম্যাচে বদলি হিসেবে ফিল্ডিংও করেন তিনি। কিউইদের ১৭২ রানে হেরে যাওয়া ওই টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে হ্যামস্ট্রিংয়ে টান লাগে উইল ও’রোকের। ক্রাইস্টচার্চে পরের ম্যাচে খেলতে পারবেন না তরুণ এই পেসার।

ও’রোকের ছিটকে পড়ায় অবসর ভেঙে ওয়্যাগনারকে ফেরানোর একটা সম্ভাবনার কথা শোনা যায়। প্রথম টেস্টের পর নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক টিম সাউদিও উড়িয়ে দেননি সেই সম্ভাবনা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওই পথে হাঁটেনি স্বাগতিকরা। ও’রোকের বদলি হিসেবে বেন সিয়ার্সকে দলে ডাকে তারা।

টেইলর মনে করছেন, বাঁচা-মরার ম্যাচে ওয়্যাগনারকে দলে ফেরানো উচিত ছিল নিউ জিল্যান্ডের। তার মতে, এই পেসারের অনুপস্থিতি অস্ট্রেলিয়াকে স্বস্তি দিচ্ছে।

টেইলর বলেন, “আর এরপরও তাকে নির্বাচন করা হয়নি… আমি মনে করি, ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা করা দরকার, কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই একটি টেস্ট জিততেই হবে এমন পরিস্থিতির। নিল ওয়্যাগনারকে ছাড়া আমি অন্য কাউকে এই ম্যাচের দলে চাইব না। আর আমি নিশ্চিত যে, সে দলে না থাকায় অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানরা নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে।”

দুই টেস্টের সিরিজে সমতা ফেরাতে আগামী শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠের লড়াই শুরু করবে নিউ জিল্যান্ড।

  বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ



এই পাতার আরো খবর