ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

বিদায়ের আগে পিএসজি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এমবাপ্পের ‘তুমুল বাকবিতণ্ডা’
অনলাইন ডেস্ক
কিলিয়ান এমবাপ্পে (ফাইল ছবি)

পিএসজি ছাড়ছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে- এটা অনেকটা নিশ্চিতই ছিল। আনুষ্ঠানিক ঘোষণাই বাকি ছিল কেবল। সেটাও শনিবার দিয়ে দিয়েছেন ফরাসি তারকা। সেইসঙ্গে প্যারিসে একটা লম্বা যুগেরও শেষ হয়েছে। কথা ছিল তুলুসের বিপক্ষে রবিবারের ম্যাচে বিদায় সংবর্ধনা থাকবে ফ্রেঞ্চ এই তারকার জন্য। কিন্তু যদিও মাঠে তা দেখা যায়নি। পিএসজিও ম্যাচ জিতে আসতে পারেনি। ঘরের মাঠে নিজের শেষ ম্যাচটা হার দিয়েই শেষ করতে হলো কিলিয়ান এমবাপ্পেকে। 

তবে ফ্রেঞ্চ গণমাধ্যম লে প্যারিসিয়েনের খবরে উঠে এসেছে সেদিনের আরেক চিত্র। তুলুসের বিপক্ষে সেই ম্যাচের আগে নাকি ক্লাব প্রেসিডেন্ট নাসের আল খেলাইফির সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছে এমবাপ্পের। একটি আলাদা কক্ষে দু'জনের মধ্যে এমন বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। 

প্রতক্ষ্যদর্শীর বিবরণে লে প্যারিসিয়েন জানিয়েছে, তাদের এই ঘটনার সময় ‘দেয়াল কেঁপে উঠেছিল’। যা থেকে ধারণা করা হচ্ছে, ক্লাব প্রেসিডেন্টের সঙ্গে হাতাহাতিতেই জড়িয়েছিলেন এমবাপ্পে। এর প্রভাব পড়েছিল ম্যাচের ওয়ার্ম আপের ক্ষেত্রে। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ৪ মিনিট পর সেদিন ওয়ার্মআপে এসেছিল পিএসজির খেলোয়াড়রা। 

ঘটনার সূত্রপাত এমবাপ্পের বিদায়ী ভিডিও নিয়ে। ফ্রেঞ্চ এই তারকা নিজের ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্তের ভিডিওতে সকল খেলোয়াড়, কোচ, সমর্থক, সাপোর্টিং স্টাফসহ সকলেই ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সংক্ষিপ্ত বার্তায় ছিল না কাতারের আমির কিংবা ক্লাবের প্রেসিডেন্ট নাসের আল খেলাইফির নাম। খেলাইফি মূলত এই বিষয় নিয়ে আলাপ করতেই এমবাপ্পেকে আলাদা করে ডেকে নেন। 

সেখানেই জানতে চাওয়া হয় কেনো এমবাপে ভিডিওতে খেলাইফি বা কাতারের আমিরের নাম উল্লেখ করেননি। পুরো বিষয়টি নিয়েই মূলত বসচা হয়েছে দু'জনের। আর তাতেই শুরু হয় উত্তপ্ত পরিস্থিতি। 

গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই এমবাপ্পে এবং নাসের আল খেলাইফির সম্পর্কে অবনতি এসেছিল। এরপর সেটার চূড়ান্ত রূপ দেখা গেল রবিবার ম্যাচের আগে। সোমবার পিএসজির পক্ষ থেকে এক বার্তায় অবশ্য দু'জনের বৈঠকের বিষয়ে জানানো হয়েছে। তবে, তাদের মাঝে উত্তপ্ত বাক্য বিনিয়ম সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি তাতে। 

বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ



এই পাতার আরো খবর