ঢাকা, সোমবার, ২২ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

যেখানে সবাইকে ছাড়িয়ে সাকিব
ক্রীড়া প্রতিবেদক
সাকিব আল হাসান

সাকিব আল হাসান ও রোহিত শর্মা। টি-২০ ক্রিকেটে দুই বিশ্বসেরা ক্রিকেটার। সাকিব বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক এবং সেরা ক্রিকেটার। রোহিত ভারতের অধিনায়ক। দুই দেশের প্রতিনিধি হয়ে এবারের বিশ্বকাপ খেললেও দুজনের মধ্যে অদ্ভুত একটি মিল রয়েছে। দুজনেই ২০০৭ সালের প্রথম বিশ্বকাপ থেকে খেলছেন। এবার নবম আসর খেলবেন। দুজনের মধ্যে একটি জায়গায় সাকিব এগিয়ে। যার ধার কাছে নেই অন্য কোনো ক্রিকেটার।

মাত্র তিনটি উইকেট পেলেই টি-২০ বিশ্বকাপে সাকিবের উইকেট সংখ্যা হবে ৫০। ২০ ওভারের বিশ্বকাপের এর আগে আর কোনো বোলার উইকেটের হাফসেঞ্চুরি করেননি। এখন পর্যন্ত ৩৬ ম্যাচে ১৮.৬৩ গড়ে ৪৭ উইকেট নিয়ে ধরাছোঁয়ার বাইরে সাকিব। বিশ্বকাপে খেলছেন এমন আর কোনো বোলারের উইকেট নেই ৪০-এর ঘরে। দুইয়ে থাকা শহীদ আফ্রিদির উইকেট ৩৪ ম্যাচে ৩৯টি।

বিশ্বকাপ খেলতে বাংলাদেশ এখন নিউইয়র্কে। সেখানে ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা। সাকিব কি খেলবেন আজ? বিশ্বকাপের মূল মঞ্চে নামার আগে আরও একটি, মানে নবম বিশ্বকাপ খেলার প্রত্যাশা করছেন ৩৭ বছর বয়স্ক বাঁ-হাতি স্পিন অলরাউন্ডার।

বিসিবির ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ইচ্ছার কথা বলেন সাবেক অধিনায়ক সাকিব, ‘প্রথম বিশ্বকাপ থেকে এখন পর্যন্ত যতগুলো টি-২০ বিশ্বকাপ হয়েছে সবগুলোতেই অংশ নিতে পেরেছি। আমার জন্য এটা গর্বের ও আনন্দের। একই সময়ে যেহেতু দেশের প্রতিনিধিত্ব করছি, অনেক ভালো লাগার একটা জায়গা আছে। আমি এবং রোহিত শর্মাই হয়তো মাত্র দুজন খেলোয়াড় যারা সবগুলো টি-২০ বিশ্বকাপে খেলেছে। আশা করি আরও একটি বিশ্বকাপ যেন খেলতে পারি। তার আগে এই বিশ্বকাপে পারফরম্যান্সটা যেন ভালো থাকে। বাংলাদেশ যেন অন্যান্য যে কোনো টি-২০ বিশ্বকাপের চেয়ে ভালো ফল করে আসতে পারে।’

টি-২০ বিশ্বকাপের গত ৮ আসরে বাংলাদেশ ম্যাচ খেলেছে ৩৮টি। জয় সাকল্যে ৯টি, যার ৬টি আবার পরের রাউন্ডে।

বাংলাদেশ খেলছে ‘ডি’ গ্রুপে। গ্রুপের বাকি চার দল-শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডস ও নেপাল। বিশ্বকাপ শুরু ২ জুন। ৮ জুন ডালাসে প্রথম ম্যাচের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, ১০ জুন নিউইয়র্কে দক্ষিণ আফ্রিকা, ১৩ জুন সেন্ট ভিনসেন্টে নেদারল্যান্ডসে এবং ১৭ জুন সেন্ট ভিনসেন্টে নেপাল ম্যাচ। প্রতিটি গ্রুপ থেকে সর্বোচ্চ ২টি দল পরের রাউন্ডে যাবে।

সাবেক অধিনায়ক চাইছেন বিশ্বকাপে অন্য আসরগুলোর তুলনায় ভালো করতে। কিন্তু সেটা কী সম্ভব? বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে যে চারটি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা, তার দুটি যুক্তরাষ্ট্রে এবং দুটি ওয়েস্ট ইন্ডিজে। যুক্তরাষ্ট্রে এই প্রথম বিশ্বকাপের আসর বসছে। সবগুলো দলের কাছেই প্রায় অপরিচিত দেশটির উইকেট। ডালাসের উইকেট পরিচিত নয়। নিউইয়র্কের উইকেট অ্যাডিলেড থেকে আনা ‘ড্রপ ইন’। এমন উইকেটে সাফল্য পাওয়া কঠিন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বরাবরই সাফল্য পাচ্ছে টাইগাররা।

তারপরও সাকিব প্রত্যাশা করছেন দুই দেশেই সাফল্য পাওয়ার, ‘যুক্তরাষ্ট্র আমার সেকেন্ড হোম হলেও হোম অ্যাডভান্টেজ পাবে কি না বলা মুশকিল। আমার মনে হয় পাবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে আমরা সব সময়ই সুবিধা পাই। কারণ পিচগুলো অনেকটা আমাদের মতোই হয়ে থাকে। তাই আমি আশা করছি দুই জায়গাতেই আমরা সুবিধা পাব।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজে কতটা সমর্থন পাবে, সে বিষয়ে নিশ্চিত নন সাকিব। তবে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের প্রচুর দর্শক খেলা দেখবেন বলে বিশ্বাস সাকিবের, ‘বিশ্বকাপ যেন একতরফা টুর্নামেন্টটা না হয়। সাধারণত বিশ্বকাপে কখনোই সেটা হয় না। বাংলাদেশের প্রচুর দর্শক সেখানে অপেক্ষা করছে। আশা করি তারা পূর্ণ সমর্থন দেবে আমাদের। তাদের সমর্থন আমাদের কাজে আসবে।’

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ



এই পাতার আরো খবর