তাওহিদ হৃদয়কে আউট করার পর স্বভাবসুলভ দুই হাত উঁচিয়ে উদযাপন করলেন কামিন্স। এর বেশি কিছু নয়। অথচ যে কাণ্ড ঘটিয়েছেন তাতে তার আরেকটু উচ্ছ্বসিত হওয়ার কথা ছিলো। কারণ হ্যাটট্রিক করা কামিন্স নাকি বুঝতেই পারেননি তিনি হ্যাটট্রিক করে বসে আছেন।
অ্যান্টিগায় বাংলাদেশের ইনিংসের ২০তম ওভারের প্রথম বলেই হৃদয়ের উইকেট নেন কামিন্স। এর আগে ১৮তম ওভারের শেষ দুই বলে তিনি ফেরান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও শেখ মেহেদী হাসানকে। আর এতেই হ্যাটট্রিক হয়ে যায় কামিন্সের।
অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় বোলার হিসেবে বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করেন কামিন্স। পেলেন ম্যাচসেরার পুরস্কারও।
পুরস্কার নিতে এসে কামিন্স জানালেন, আসলে শুরুতে তিনি এই কীর্তির বিষয়টি আঁচই করতে পারেননি।
কামিন্স বলেছেন, ‘আমার কোনো ধারণাই ছিল না। জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখলাম। (মার্কাস) স্টয়নিসও এসে বলল। সেট ব্যাটসম্যান ছিল স্ট্রাইকে, তাদের ইনিংস এগিয়ে নিচ্ছিল। আপনি কখনও বলতে পারবেন না, (সেখান থেকে) কী হতে পারে। তো সেটি বড় উইকেট ছিল। তাদের আটকে রাখতে পারায় খুশি।’
স্বীকৃত ক্রিকেটে এটিই কামিন্সের প্রথম হ্যাটট্রিক।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল