ঢাকা, সোমবার, ২২ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

গুলবাদিন কাণ্ডে হাসতে হাসতে চোখে পানি এসে গিয়েছিল মার্শের
অনলাইন ডেস্ক
কোচ জোনাথন ট্রটের ইঙ্গিতে মাঠে শুয়ে পড়েন গুলবাদিন নাইব

অস্ট্রেলিয়ার সেমিফাইনালে যাওয়া ছিল বাংলাদেশের উপর নির্ভরশীল। প্যাট কামিন্স, মিচেল মার্শ, ট্রাভিস হেডরা হোটেলে বসে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচ দেখেছেন। মিচেল মার্শ তো ‘কাম অন বাংলাদেশ’ লিখে পোস্টও দিয়েছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশ আফগানিস্তানকে ১১৫ রানে আটকে রাখার পরও জিততে পারেনি। ৮ রানে হেরে যায়, যার ফলে অস্ট্রেলিয়ার সেমিফাইনালে যাওয়ার স্বপ্নও ভেঙে যায়।

মার্শ ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ওয়েবসাইটে সাক্ষাৎকারে নিজের হতাশার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আফগানিস্তানের গুলবাদিন নাইবের চোটের অভিনয় ছিল তার দেখা ‘সবচেয়ে হাস্যকর ঘটনা’। ম্যাচে নাইবের চোটে পড়ার অভিনয় ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।

বাংলাদেশের তখন ২ রানে পিছিয়ে ছিল এবং বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। আফগান কোচ জোনাথন ট্রট মাঠের দিকে সময় ক্ষেপণের ইশারা করেন। স্লিপে ফিল্ডিং করা নাইব হঠাৎই পায়ে টান পড়ার ভান করে শুয়ে পড়েন। পরে ফিজিও ও সতীর্থদের সাহায্যে মাঠ থেকে বের হয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে আবার বোলিং করতে নামেন। জয়ের পর দৌড়ে উদযাপন করেন।

নাইবের এই কাণ্ডে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। তবে মার্শ এটাকে মজার বিষয় হিসেবে দেখেছেন। তিনি বলেন, ‘ক্রিকেট মাঠে আমার দেখা সবচেয়ে হাস্যকর মুহূর্ত। হাসতে হাসতে আমার চোখে পানি এসে গিয়েছিল।’

বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচটি মার্শের মতে অসাধারণ ছিল। তবে ৮ রানে বাংলাদেশের হারে অস্ট্রেলিয়ার সেমিফাইনাল আশা ভেঙে যাওয়ায় মার্শ হতাশ হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ম্যাচটি ছিল অসাধারণ। তবে শেষ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর আমরা সবাই হতাশ হয়ে পড়ি। আফগানিস্তান যোগ্যতর দল হিসেবেই সেমিতে গেছে।’

বাংলাদেশেরও সুযোগ ছিল সেমিফাইনালে যাওয়ার। আফগানিস্তানের ১১৫ রান ১২.১ ওভারে টপকে যেতে পারলে তারা সেমিতে যেতে পারত। কিন্তু বাংলাদেশ সেই সুযোগ নিতে পারেনি। অস্ট্রেলিয়াও সুপার এইটে বাংলাদেশের উপর নির্ভর করেছিল, কিন্তু বাংলাদেশ তাদের হতাশ করেছে।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল



এই পাতার আরো খবর