ঢাকা, রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

মস্কোর কারাগার থেকে প্যারিসের মঞ্চে, ব্রিটনির রূপকথার ফেরা
অনলাইন ডেস্ক
ব্রিটনি গ্রিনার (সর্ব ডানে)

বিদেশ-বিভুঁইয়ে গিয়ে কী বিপদেই না পড়েছিলেন ব্রিটনি গ্রিনার। মার্কিন নারী বাস্কেটবল খেলোয়াড় রাশিয়ায় গিয়ে মাদক মামলায় জড়িয়ে পড়েন এবং ৯ বছরের কারাদণ্ড হয় তার। 

২০২২ সালের ডিসেম্বরে বিশেষ ব্যবস্থায় মুক্তি পান গ্রিনার। দুই বছরেরও কম সময়ে তিনি এখন অলিম্পিকে অংশ নিতে প্রস্তুত। এই দুঃস্বপ্ন থেকে কীভাবে ফিরে এসেছেন, সেটি ভেবে আপ্লুত তার সতীর্থ ডায়ানা টাউরাসি।

গ্রিনার রাশিয়ায় গিয়েছিলেন বাস্কেটবল লিগ খেলতে। মস্কোর এক বিমানবন্দরে তার লাগেজে ভেপ কার্টিজে তরল ক্যানাবিস (গাঁজা) পাওয়া যায়। আদালতে গ্রিনার তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ স্বীকার করেন এবং জানান, এটি তার চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র মেনেই ছিল, যা তিনি রাশিয়ার আইনবিরুদ্ধ বুঝতে পারেননি। রুশ আদালত তার যুক্তি মেনে নেয়নি এবং তাকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেয়। প্রায় ১০ মাস কারাভোগের পর রাশিয়ার অস্ত্র ব্যবসায়ী ভিক্তর বাউতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বন্দিবিনিময় চুক্তিতে তিনি মুক্তি পান। 

২০২৩ সালে মেয়েদের এনবিএ দিয়ে তিনি আবার মাঠে ফেরেন। যুক্তরাষ্ট্রে খেলা না থাকায় ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার ক্লাব বাস্কেটবল খেলতে গিয়েছিলেন গ্রিনার। তখনই এই বিপদে পড়েন তিনি।

অলিম্পিকে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে দুবার সোনা জেতা গ্রিনার বলেছেন, অলিম্পিক ছাড়া তিনি আর দেশের বাইরে খেলবেন না। এবার সেই অলিম্পিকে সাদা-নীল জার্সি পরে তিনি টানা আটটি সোনা জেতার মিশনে নামবেন। তার এই লড়াই নিয়ে সতীর্থ টাউরাসি বলেন, ‘গত দুই বছরে গ্রিনারের ওপর দিয়ে যা গেছে, তা অভূতপূর্ব। সে আবার ফিরেছে, লড়াই করেছে এবং দুনিয়ার সবচেয়ে সুখী মানুষ ছিল।’

বন্দিবিনিময় চুক্তিতে ভিক্তর বাউতকে মুক্তি দিয়ে গ্রিনারকে ফেরানোর সিদ্ধান্তে সমালোচনা করেছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ অনেক রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রীড়ামহল ও সাধারণ সমর্থকদের মধ্যে তার ফেরাতে স্বস্তি মিলেছে। 

সম্প্রতি নিজের ফেরা নিয়ে গ্রিনার বলেছেন, যেসব পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আমি গিয়েছি, সবাই ভাবছে আমার জন্য আবার দেশের বাইরে আসা কেমন অনুভূতির। আসলেই এটা দুর্দান্ত। এখানে খুব ভালো লাগছে। নিরাপদ বোধ করছি। দুর্দান্ত লাগছে। 

সোমবার যুক্তরাষ্ট্র প্রথম ম্যাচ খেলবে জাপানের বিপক্ষে।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল



এই পাতার আরো খবর