মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের কিউরেটর গামিনি ডি সিলভাকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার শেষ নেই। মিরপুরের বাজে উইকেটের জন্য দায়ী করা হয় তাকে। এর মধ্যে খবর, মিরপুরের মাঠকর্মীরা তার প্রতি ক্ষোভ জানিয়েছেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার পর সেটি সামাল দেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কিছুদিন ছুটি থাকলেও আবার কাজে ফিরেছেন গামিনি। তাকে কি রেখেই দেবে বিসিবি?
উত্তরে সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেন, ‘যখন হোম সিরিজটা খেলি, যে ম্যাচগুলো বিদেশি দলের সঙ্গে, সেখানে শুধু গামিনি নয়; প্রধান কোচ, ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান—সবার চাওয়া থাকে। সব দলই ঘরের মাঠের সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করে। গামিনি আমাদের আরও মাঠে কাজ করতে পারে। (উইকেট কেমন হয়) সিরিজ বাই সিরিজ ঠিক হয়। দুর্নীতি যে হয়েছে, কী মাত্রায় হয়েছে সেটা বের করা আমাদের কাজ। আমার মাত্র সাত দিন হয়েছে। একটু ধৈর্য ধরতে হবে। কিছুই বন্ধ করা যাবে না, সব কাজই করতে হবে। আমাকে এখন অনেক কিছু এক সঙ্গে করতে হচ্ছে।’
‘হেড কোচ বা ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান, আমি যখন প্রধান নির্বাচক ছিলাম; চেষ্টা করতাম হোম অ্যাডভান্টেজ নেওয়া যায় কি না। এরকম ক্ষেত্রেও যদি কেউ কিন্তু স্লো উইকেট চায়, বাউন্সি উইকেট চায়। তার জন্য সবকিছু করা সম্ভব না।’
এরপর গামিনির ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা বলার পরও বলছি। গামিনি আমাদের কিউরেটর, আমাদের আরও মাঠ আছে; ওগুলোতে সে কাজ করতে পারে। এটা নিয়ে আমরা আজকে আলোচনা করেছি। যেহেতু তাকে বলা যাবে না, এত স্লো উইকেট কেন, লো বাউন্সির উইকেট কেন বা এত ঘাস কেন। এটা কিন্তু ট্যুর বাই ট্যুর বেসিসে নির্ভর করে।’
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ