ঢাকা, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

লিটন দাসের সেঞ্চুরির পরও লিড পেল না বাংলাদেশ
অনলাইন ডেস্ক
সেঞ্চুরির পর এভাবেই উদযাপন করেন লিটন দাস।

রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের তৃতীয় দিনের পার করেছে বাংলাদেশ। তবে দিনের শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে বড় ধাক্কায় টাইগাররা। তবে লিটন দাসের অনবদ্য সেঞ্চুরি ও মিরাজের ফিফটিতে ২৬২ রান সংগ্রহ করে লাল-সবুজের দল। পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে করা ২৭৪ রানের জবাবে ২৬২ রানে শেষ হয়েছে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। ফলে ১২ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয়বার ব্যাট করতে নামবে স্বাগতিকরা।  

আজ শুরুতে ১৪ রানে জাকির হোসেনে উইকেট খোয়ায় বাংলাদেশ। এরপর থেকে যা হয়েছে তা হয়তো সাকিবদের স্মৃতিতে অনেক দিন ভোগাবে। মাত্র ১২ রান যোগ করতেই হারাতে হয়েছে টপ অর্ডারের পাঁচ ব্যাটারকে। ওপেনার সাদ্দামের (১০) পরে এই টপ অর্ডারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ করেন ক্যাপ্টেন নাজমুল হোসেন শান্ত (৪)। আর বাকিদের স্কোর উল্লেখ করার মতো নয়।

তবে এদিন শক্ত হাতে হাল ধরেন লিটন-মিরাজ জুটি। সপ্তম উইকেটে এই জুটি রেকর্ড ১৬৫ রান করে। ১৪৭ বছরের টেস্ট ইতিহাসে ৫০ রানের কমে ষষ্ঠ উইকেট পতনের পর সপ্তম উইকেটে সবচেয়ে বড় জুটি এটা। মিরাজ ১২৪ বলে ৭৮ রান করে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে সেই জুটি।

এরপর হাসান মাহমুদকে সঙ্গে নিয়ে লিটন রানের চাকা ঘোরাতে থাকেন। এরই মধ্যে লিটন তুলে নেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্ট শতক। তবে আগা সালমানকে লঙ অনের ওপর দিয়ে মারতে গিয়ে ব্যাটে-বলে ঠিক মতো না হওয়ায় তা চলে যায় সিয়াম আইয়ুবের হাতে। ২২৮ বলে ১৩টি বাউন্ডারি ও চারটি ছক্কায় লিটন করেন ১৩৮ রান।

পরে ৫১ বল খেলা হাসান মাহমুদ ১৩ রানে অপরাজিত থাকলেও তাসকিন, নাহিদ তেমন কোনো রান যোগ করতে পারেন নাই। বাংলাদেশের ইনিংস গিয়ে থামে ২৬২ রানে। ১২ রানে পিছিয়ে থাকে শান্তরা। 

এদিন পাকিস্তানি বোলারদের মধ্যে রীতিমতো ত্রাসের সৃষ্টি করেন খুররাম শেহজাদ। নেন ছয়টি উইকেট। এছাড়া মির হামজা ও আগা সালমান নেন দুটি করে। 

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত



এই পাতার আরো খবর