ঢাকা, বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

যে ৫ কারণে টি২০ ‘বিশ্বকাপ’ জেতার দাবিদার পাকিস্তান
অনলাইন ডেস্ক
ফাইল ছবি

আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপে ভালো পারফরম্যান্স বলছে- পুরনো মেজাজে ফিরেছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। শুরুতেই ভারতকে ১০ উইকেটে হারিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে দলটি। এরপর শক্তিশালী প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড ও আফগানিস্তানকে হারিয়ে দুর্দান্তভাবে সেমি ফাইনালের পথে এগিয়ে রয়েছে বাবর আজমরা। এখন বিশ্বকাপের সামনের ম্যাচগুলোতে কেমন করবে দলটি, আর ফাইনালে উঠতে ও জিততে পারবে কিনা তা নিয়ে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

এ নিয়ে এক প্রতিবেদনে ওপার বাংলার প্রভাবশালী দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, যে দলকে বিশ্বকাপ জয়ের দৌড়ে রাখাই হচ্ছিল না, সেই পাকিস্তানই এখন বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম দাবিদার। বিশ্বকাপে নামার আগে কোচ বদল, একাধিক ক্রিকেটার বদল, জর্জরিত করে দিয়েছিল বাবররা। ভারত, নিউজিল্যান্ডের মতো দলকে হারিয়ে পাকিস্তান নিজেদের অন্যতম শক্তিশালী দল হিসাবে প্রমাণ করেছে। 

যে পাঁচটি কারণে টি২০ বিশ্বকাপ জেতার দাবিদার হতে পারে পাকিস্তান :

১. ঘরের মাঠ : যে টি২০ বিশ্বকাপ ভারতের মাটিতে আয়োজিত হওয়ার কথা ছিল, তা হচ্ছে পাকিস্তানের ‘ঘরের’ মাঠ। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা দলের উপরে আক্রমণ হওয়ার পর পাকিস্তানের মাটিতে আন্তর্জাতিক ম্যাচ প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। সেই সময় থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে খেলতে শুরু করে পাকিস্তান। এর ফলে দুবাই, আবু ধাবির মাঠ পরিচিত পাকিস্তানের কাছে। টানা ১৩টি ম্যাচ জেতার রেকর্ডও গড়ে পাকিস্তান।

২. রমিজ রাজার পদক্ষেপ : দলের ভিতরে সমস্যা হলেই আরও শক্তিশালী হয়ে উঠে পাকিস্তান। ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপেও সেটা দেখা গিয়েছিল। এ বারের বিশ্বকাপের আগে কোচের দায়িত্ব ছাড়েন মিসবা উল হক। রমিজ রাজা সবে দায়িত্ব নিয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের। এসেই একাধিক বিতর্কের মুখে পড়েন তিনি। তবে তার নেওয়া সিদ্ধান্তে ইতিবাচক ফল পাওয়া গিয়েছে।

৩. অধিনায়ক বাবরের নেওয়া সিদ্ধান্ত : অধিনায়ক বাবর আজম নিজের দল বাছার সুযোগ পেয়েছেন। শেষ মুহূর্তে দলে নেওয়া হয় শোয়েব মালিক, ফখর জামানদের। দু’জনকেই প্রথম একাদশে খেলতে দেখা গিয়েছে। মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে বাবরের ওপেনিং জুটি সাফল্য পেয়েছে। বোলারদের সাফল্যও দলকে সাহায্য করেছে। বাবরের নেওয়া সিদ্ধান্তগুলি সাফল্য এনে দিয়েছে দলকে।

৪. অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের দলে নেওয়া : পাকিস্তান দলে শোয়েব মালিকদের মতো অভিজ্ঞদের দলে নিয়ে আসা কাজ দিয়েছে। ৩৯ বছরের শোয়েব মালিককে দলে নেওয়ায় অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন। কিন্তু নিজেকে ফিট রেখেছেন শোয়েব। ব্যাট হাতে এখনও দলকে ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা রয়েছে তার।

৫. পাকিস্তান সুপার লিগ :  এছাড়া পাকিস্তান সুপার লিগ বাবরদের সাফল্যের অন্যতম কারণ। ২০০৯ সালের পর থেকে আইপিএল-এ খেলতে পারে না পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। ২০১০ সাল থেকে পাকিস্তান দলের সাফল্য কমতে থাকে। ২০১৫ সালে শুরু হয় পিএসএল। ভারত না খেললেও অন্যান্য দেশের তারকারা এই লিগে খেলেন। টি২০ ক্রিকেটের চাপ নিতে শিখে গিয়েছেন বাবররা। সব মিলিয়ে এই পাকিস্তান বিশ্বকাপের বাকি দলগুলোকে চাপে ফেলার ক্ষমতা রাখে।

বিডি-প্রতিদিন/শফিক



এই পাতার আরো খবর