সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ বড় ব্যবধানে হারলো। রাইলি রুসোর ব্যাটিং ঝড়ে বাংলাদেশ রান পাহাড়ে চাপা পড়েছিল। তার ১০৯ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা করে ২০৫ রান, ৫ উইকেট হারিয়ে। জবাবে ব্যাট হাতে বাংলাদেশের ১১ ব্যাটসম্যান মিলে রুসোর একার রানই ছুঁতে পারেনি। ১৭তম ওভারে ১০১ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ দল। হার মানে ১০৪ রানে।
বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হওয়া দরকার ছিল বাংলাদেশের। সৌম্য সরকারের ব্যাটে তেমন কিছুর ইঙ্গিতও ছিল। প্রথম ওভারের শেষ দুই বলে কাগিসো রাবাদাকে টানা দুই ছক্কা হাঁকান বাঁহাতি এই ব্যাটার। তবে তৃতীয় ওভারেই আউট হয়েছেন তিনি। অ্যানরিচ নরকিয়াকে অ্যাক্রোস দ্য লাইন খেলে উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে ধরা পড়েছেন সৌম্য (৬ বলে ২ ছক্কায় ১৫)।
এরপর ৯ বলে ৯ রান করে নরকিয়ার ওই ওভারেই বোল্ড হয়েছেন বাঁহাতি ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত। সাকিব হন নরকিয়ার তৃতীয় শিকার। ৪ বলে ১ রান করে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন টাইগার দলপতি। ৬ ওভার শেষে টাইগারদের সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ৪৭ রান। উইকেট আটকাতেই যেন মেহেদি হাসান মিরাজকে প্রমোশন দিয়ে ছয় নম্বরে পাঠানো হয়। তিনিও সুবিধা করতে পারেননি। ১৩ বলে ১১ করে তাবরেজ শামসিকে তুলে মারতে গিয়ে ডিপ লং অফে ক্যাচ হন এই অলরাউন্ডার।
কেশভ মহারাজকে দুই পা এগিয়ে মারতে গিয়ে স্টাম্পিং মোসাদ্দেক হোসেন (০)। ছ্ক্কা মারতে গিয়ে ২ করে ফেরেন নুরুল হাসান সোহানও। ৭৬ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে হার নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের। লিটন দাস তবু একটা প্রান্ত ধরে পরাজয়ের ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করছিলেন। ১৪তম ওভারে তাকেও সাজঘরের পথ দেখিয়ে দেন তাবরেজ শামসি। স্কয়ার লেগ বাউন্ডারিতে ক্যাচ হন ৩১ বলে একটি করে চার-ছক্কায় ৩৪ করা লিটন। এরপর আর বেশিদূর এগোতে পারেনি টাইগাররা।
দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন অ্যানরিচ নরকিয়া। ১০ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন তিনি। ৩টি উইকেট পান তাবরেজ শামসি।
বিশ্বকাপে কোনও দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান হিসেবে সেরা ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা রুসো। বল হাতেও দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা বোলিং ফিগারে নর্কিয়ে এবং তার ক্যারিয়ার সেরাও।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ