ঢাকা, বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

টি-২০ বিশ্বকাপ
মুখোমুখি বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে: কী বলছে পরিসংখ্যান?
অনলাইন প্রতিবেদক
ফাইল ছবি

মেলবোর্নে খেলতে না পারার আক্ষেপ আজীবন পোড়াবে আফগানিস্তান অধিনায়ক মোহাম্মদ নবীকে। টি-২০ বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি ভেসে যায় বৃষ্টিতে। ২০১৫ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে একই আক্ষেপে পুড়েছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা, সাকিব আল হাসানরা। ব্রিসেবেনের গাব্বা স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি সেবার বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছিল। ব্রিসবেনে সেবারই প্রথম খেলার কথা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু টানা বর্ষণে টস হয়নি। 

৭ বছর পর ফের ব্রিসবেনে খেলবে টাইগাররা। এবার টি-২০ বিশ্বকাপের ম্যাচ। আজ রবিবার চমক সৃষ্টিকারী দল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সুপার টুয়েলভে গ্রুপ-২’এ নিজেদের তৃতীয় ম্যাচ খেলবে সাকিব বাহিনী। ব্রিসবেনের গাব্বায় দুই দলের ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টায়। পরিসংখ্যানের বিচারে ক্রেইগ আরভিনের জিম্বাবুয়ের তুলনায় এগিয়ে সাকিবের বাংলাদেশ।  একটু চোখ বুলানো যাক দুই দলের টি-টোয়েন্টি পরিসংখ্যানে।

২০০৬ সালে প্রথম ম্যাচ, সেই থেকে এখন পর্যন্ত দুই দল খেলেছে ১৯টি টি-টোয়েন্টি। মুখোমুখি দেখায় জিম্বাবুয়ের চেয়ে এগিয়ে টাইগার বাহিনী। বাংলাদেশের ১২ জয়ের বিপরীতে জিম্বাবুয়ের জয় ৭ ম্যাচে। তবে সবেশেষ সিরিজে বাংলাদেশকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল তারা, সে হিসেবে গাব্বায় ফেবারিট ধরা যায় ক্রেগ আরভিন বাহিনীকেই।

দুই দলের মুখোমুখি দেখায় সবচেয়ে বেশি রান হেমিল্টন মাসাকাজদার। যদিও তিনি অবসর নিয়েছেন অনেক আগে। বিশ্বকাপে খেলছেন, এমন খেলোয়াড়দের সবচেয়ে বেশি রান বাংলাদেশের সৌম্য সরকারের। ১০ ম্যাচে সিকান্দার রাজাদের বিপক্ষে তিনি করেছেন ২৯৮ রান। যার গড় ৩৭.২৫ ও স্ট্রাইকরেট ১৩৪.২৩। বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯৪ রান করেছেন লিটন দাস।

উইকেটের হিসাবে অন্যদের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে টাইগার পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। ১২ ম্যাচে তিনি নিয়েছেন ২২ উইকেট। সাকিব আল হাসানের শিকার ১৬ উইকেট। রোডেশীয়দের মধ্যে লুক জংউই ১০ ম্যাচে নিয়েছেন ১০ উইকেট, ১৫ ম্যাচে সিকান্দার রাজার শিকার ৭ উইকেট।

সাদা চোখে সাকিবরা এগিয়ে থাকলেও সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে সিকান্দার রাজার জিম্বাবুয়ে উড়ছে। দুরন্ত ক্রিকেট খেলছে দলটি। ফিনিক্স পাখির মতো পুনরজ্জীবন ঘটছে জিম্বাবুয়ের। 

১৯৯৭ সাল থেকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিয়মিত খেলছে বাংলাদেশ। দেশটির বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জয় ২০০৫ সালে। প্রথম টি-২০ জয়ও দেশটির বিপক্ষে ২০০৬ সালে। সব মিলিয়ে আফ্রিকান দেশটি অনেক বেশি পরিচিত মুখ সাকিবদের কাছে। পরস্পরের বিপক্ষে টি-২০ ম্যাচ খেলেছে ১৯টি। টেস্ট খেলেছে ১৮টি এবং ওয়ানডে ৮১টি। তবে এই প্রথম দুই দেশ যে কোনো বিশ্বকাপে পরস্পরের মুখোমুখি হচ্ছে। 

ক্রিকেট মহাযজ্ঞে দুই দলের অভিষেক ম্যাচ। স্মরণীয় করে রাখতে চাইবেন সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাস, সাকিব, আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, মোসাদ্দেক সৈকত, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদরা। টাইগার ক্রিকেটারদের মূল লড়াইটা হবে সিকান্দার রাজ্জার বিপক্ষে। ২০ ওভারের বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলছেন সিকান্দার। পাকিস্তানের বিপক্ষে ১ রানের অবিশ্বাস্য জয়ের নায়ক সিকান্দার।

বিডি-প্রতিদিন/আ. তাফ



এই পাতার আরো খবর