ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

‘আম্পায়ারকে বোঝানোর ক্ষমতা কি আমার আছে’
অনলাইন ডেস্ক
সাকিব ও রোহিতের সঙ্গে কথা বলছেন আম্পায়াররা

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে বুধবার ভারতের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। এদিন টস হেরে আগে ব্যাট করেন রোহিত শর্মারা। ৬ উইকেটে ১৮৪ রান করেন বিরাট কোহলিরা।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে লিটন দাসের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৭ ওভারে ৬৬ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। ম্যাচের এই পরিস্থিতিতে জয়ের স্বপ্ন দেখছিলেন টাইগাররা। কিন্তু বাঁধা হয়ে নেমে আসে বৃষ্টি।

ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে বৃষ্টির সময়ে বাংলাদেশের প্রয়োজন ৪৯ রান। সে অনুযায়ী তখন ১৭ রানে এগিয়ে ছিলেন টাইগাররা। তার মানে বৃষ্টির কারণে খেলা যদি আর মাঠে না গড়াতো তাহলে বৃষ্টি আইনে জিতে যেত বাংলাদেশ। 

অন্যদিকে, বৃষ্টির পর খেলা মাঠে না গড়ালে সেমিফাইনালে উঠতে সমস্যায় পড়ে যেত ভারত। তাই বৃষ্টি শেষ হতে না হতেই বাংলাদেশকে তড়িঘড়ি করে ভেজা মাঠেই খেলার আহ্বান জানানো হয়।

খেলা শেষে এক সাংবাদিক সাকিবকে প্রশ্ন করেন, বৃষ্টির পর আপনারা কী আর খেলতে চাননি? কী আলোচনা হচ্ছিল?

জবাবে সাকিব বলেন, আর কী কোনও উপায় ছিল? ওই সাংবাদিক ফের প্রশ্ন করেন, উপায় ছিল না, কিন্তু আপনারা কী ভারত এবং ম্যাচ অফিসিয়ালদের বোঝানোর চেষ্টা করেননি? জবাবে সাকিব বলেন, কাদের?

সাংবাদিক ফের প্রশ্ন করেন, আম্পায়ার এবং অবশ্যই ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে? উত্তরে সাকিব বলেন, আমার কি আম্পায়ারকে বোঝানোর ক্ষমতা আছে?

এরপর সাংবাদিক বলেন, আচ্ছা, তাহলে আপনারা আম্পায়ারের সঙ্গে কী নিয়ে আলোচনা করলেন? সাকিব বলেন, এবার ঠিক প্রশ্ন করলেন। আম্পায়ার আমাদের ডেকে পাঠিয়েছিলেন। জানাচ্ছিলেন কত ওভার খেলা হবে, কত রান করতে হবে। সেই অনুযায়ী কী নিয়ম হবে।

সাংবাদিকের ফের প্রশ্ন, আপনারা সেটা মেনে নিলেন? সাকিব অবাক সুরে হ্যাঁ। সাংবাদিক বলেন, খুব সুন্দর, ধন্যবাদ।

বৃষ্টির পর ৯ ওভারে ৮৫ রান তাড়ায় আস্কিং রানরেট তাড়া করে জয় ছিনিয়ে নিতে পারেনি বাংলাদেশ। এ ব্যাপারে সাকিব বলেন, বৃষ্টি তো আর আমাদের হাতে নেই। তাই আমাদের সেটা মেনে নিয়েই খেলতে হয়। ৯ ওভারে ৮৫ করতে হতো। এমন অবস্থায় অনেক দলই লক্ষ্যে পৌঁছে যেতে পারত। দুর্ভাগ্য যে খুব কাছে গিয়েও আমরা পৌঁছতে পারিনি।

বিডি প্রতিদিন/কালাম



এই পাতার আরো খবর