ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

ঘরের মাঠে বিদায় অস্ট্রেলিয়ার, হতাশ ম্যাক্সওয়েল
অনলাইন ডেস্ক
গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।

প্রথম ম্যাচেই নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হারের ধাক্কা। এরপর ঘুরে দাঁড়িয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত অবশ্য ছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে পারেনি সুপার টুয়েলভের বৈতরণী পার হতে। ঘরের মাঠে নিজেদের পারফরম্যান্স নিয়ে তাই খুব হতাশ গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়ার পর এই অলরাউন্ডার বললেন, নিখুঁত কোনো ম্যাচ খেলতে পারেনি তারা।

গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স উপহার দেয় অস্ট্রেলিয়া। সুপার টুয়েলভে পাঁচ ম্যাচের চারটি জিতে দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে নেট রান রেটে এগিয়ে থেকে তারা জায়গা করে নেয় শেষ চারে। নকআউট পর্বে পাকিস্তানকে হারিয়ে ওঠে শিরোপা লড়াইয়ের মঞ্চে। ফাইনালে নিউ জিল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ঘরে তোলে অস্ট্রেলিয়া।

এবার কিউইদের সঙ্গে প্রথম ম্যাচে ৮৯ রানে হেরে নেট রান রেটে অনেক পিছিয়ে পড়ে অ্যারন ফিঞ্চের দল। পরে আর সেটা পুষিয়ে নিতে পারেনি তারা। নিউ জিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের সমান ৭ পয়েন্ট থাকলেও শেষ চারে ওঠা হয়নি নেট রান রেটের কারণে। অস্ট্রেলিয়ার পারফরম্যান্স যে সন্তোষজনক ছিল না, তার প্রমাণ মেলে দলটির ক্রিকেটারদের দিকে নজর দিলেই। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান ও সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারির তালিকায় সেরা দশে নেই তাদের কেউই।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শনিবার ইংল্যান্ডের জয়ে নিশ্চিত হয় অস্ট্রেলিয়ার বাদ পড়া। পরে আইসিসির ওয়েবসাইটে ম্যাক্সওয়েল তুলে ধরেন নিজেদের বাজে পারফরম্যান্স নিয়ে হতাশার কথা। নিখুঁত ম্যাচ খেলতে না পারার আক্ষেপ তার।

ম্যাক্সওয়েল বলেন, আমরা সম্ভবত পরিপূর্ণ ম্যাচ খেলতে পারিনি। গত বিশ্বকাপে কয়েকটি ম্যাচে যা আমরা পেরেছিলাম। বোধহয় বাংলাদেশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একের পর এক পরিপূর্ণ ম্যাচ খেলেছিলাম। ওই ম্যাচগুলোতে নিখুঁত পারফরম্যান্স ছিল আমাদের। প্রতিটি বিভাগেই আমরা খুব ভালো ছিলাম।

তিনি আরও বলেন, এই বছর (বিশ্বকাপে) আমরা কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া করেছি। কয়েকজন ব্যাটসম্যান ভালো শুরু পেলেও কেউ বড় ইনিংস খেলতে পারেনি। আমার মনে হয় না, শীর্ষ পাঁচ-ছয় কিংবা দশজন রান সংগ্রাহকের মধ্যে আমাদের কোনো ব্যাটসম্যান আছে। সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারিদের মধ্যেও মনে হয় আমাদের কেউ নেই। মনে হচ্ছিল, আমরা কেবল খারাপের দিকেই যাচ্ছি।

বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ



এই পাতার আরো খবর