ঢাকা, বুধবার, ২ অক্টোবর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

ম্যাচসেরা হয়ে আফ্রিদি-হাফিজের পাশে রিজওয়ান
অনলাইন ডেস্ক
মোহাম্মদ রিজওয়ান।

চোট কাটিয়ে ফেরার পর থেকে সেরা ছন্দ খুঁজে ফেরা শাহিন শাহ আফ্রিদি ফের বল হাতে আলো ছড়ালেন। ব্যাটিংয়ে জয়ের পথ সহজ করে দিলেন রান খরায় ভুগতে থাকা অধিনায়ক বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। নিউজিল্যান্ডকে অনায়াসে হারিয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তৃতীয়বার ফাইনালে উঠল পাকিস্তান।

সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বুধবার (০৯ নভেম্বর) প্রথম সেমিফাইনালে পাকিস্তানের জয় ৭ উইকেটে। আগে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ১৫২ রান করেছিল নিউজিল্যান্ড। জবাবে বাবর ও রিজওয়ানের ফিফটিতে ৫ বল বাকি থাকতেই কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায় পৌঁছে যায় পাকিস্তান।

রান তাড়ায় ইনিংসের প্রথম বলেই ট্রেন্ট বোল্টকে চার মেরে শুরু। এরপর কেবল ছুটলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ১৩ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে ফাইনালে তোলার পথে খেললেন ঝকঝকে এক ইনিংস। তাতে দেশের হয়ে রেকর্ডের একটি পাতায়ও নাম লেখালেন এই কিপার-ব্যাটসম্যান।

৫ চারে সাজানো ৪৩ বলের ইনিংসটির সৌজন্যে ম্যাচ সেরার পুরস্কারও জিতলেন তিনি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বার হলেন ‘ম্যান অব দা ম্যাচ।’ গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাত আসরে নামিবিয়ার বিপক্ষে অপরাজিত ৭৯ রান করে হয়েছিলেন ম্যাচ সেরা।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে একাদশবার এই স্বীকৃতি জিতলেন রিজওয়ান। পাকিস্তানের হয়ে যৌথভাবে যা সর্বোচ্চ। তার সমান ১১বার ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন সাবেক দুই অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজ ও শহিদ আফ্রিদি। তাদেরকে ছাড়িয়ে রেকর্ডটি নিজের করে নেওয়ার দারুণ সুযোগ রয়েছে ৩০ বছর বয়সী রিজওয়ানের সামনে।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এদিন রান তাড়ায় শুরু থেকেই আক্রমণ চালান রিজওয়ান। বোল্টের দ্বিতীয় ওভারে আরও দুটি চার মারেন তিনি। পরে টিম সাউদিকে মারেন টানা দুটি। রিজওয়ানের সবগুলো বাউন্ডারি আসে পাওয়ার প্লেতে। এরপর তিনি এগোতে থাকেন প্রান্ত বদল করে, দেখেশুনে খেলে। ৩৬ বলে স্পর্শ করেন এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ফিফটি। সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ২৩তম। শেষ ১৯ বলে যখন ২১ রান চাই পাকিস্তানের, তখন বিদায় নেন রিজওয়ান। বোল্টের ফুলটস বল উড়িয়ে মেরে গ্লেন ফিলিপসের হাতে ধরা পড়েন তিনি।



এই পাতার আরো খবর