ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

ই-ক্যাব নির্বাচন: 'ঐক্য' প্যানেলের ইশতেহার ঘোষণা
অনলাইন ডেস্ক

কয়েকদিন পরেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব)  ২০২২-২৪ সালের চতুর্থ দ্বি-বার্ষিক কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন।

এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে 'ঐক্য' প্যানেল। নির্বাচনকে সামনে রেখে ঐক্যের টিম লিডার প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। আজ সোমবার (১৩ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানীর হোটেল শেরাটনে এক অনুষ্ঠানে নিজেদের ভাবনা ও পরিকল্পনা তুলে ধরেন তিনি।

  এসময় প্যানেল সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মোহাম্মদ সাজ্জাদুল ইসলাম (অংশীদার-ক্রাফটসম্যান সলুশন), মো: তাজুল ইসলাম (আই এক্সপ্রেস লিমিটেড), আরিফ মোহাম্মদ আব্দুস শাকুর চৌধুরী (স্কুপ ইনফোটেক লিমিটেড), মো: সেলিম শেখ (নূরতাজ ডট কম বিডি), সামদানি তাব্রীজ (র্যাপিডো ডেলিভারিস), ইঞ্জিনিয়ার তৌহিদা হায়দার রিমা (মেনসেন মিডিয়া), মো: আরিফুল ইসলাম ডিপেন (পরান বাজার) এবং ছোফায়েত মাহমুদ লিখন (কোরিয়ান মার্ট বিডি)।   ঐক্য প্যানেলের ইশতেহার ১. সুসংগঠিত ই-ক্যাব ২. ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়ন ৩. উদ্যোক্তা সুরক্ষা ও বিনিয়োগ ৪. গ্রামীণ ই-কমার্স ও প্রান্তিক ডেলিভারি সেবা ৫. ই-ট্যুরিজম ও সেবাভিত্তিক ই-কমার্স খাতের উন্নয়ন ৬. ই-কমার্স বান্ধব নীতি, নির্দেশিকা, আইন ও বিধি তৈরিতে কার্যকর ভূমিকা পালন। ৭. ক্রস বর্ডার ই-কমার্স ৮. ই-কমার্সের বাজার সম্প্রসারণ

সুসংগঠিত ই-ক্যাব গঠনে মনোনিবেশ ১. আমরা সকল ই-ক্যাব প্রতিষ্ঠান ও সদস্যবান্ধব ই-ক্যাব গঠনে মনোনিবেশ করা। ২. ই-ক্যাবের স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং নিজস্ব কার্যালয়ের ব্যবস্থা করা।  ৩. ই-ক্যাবের জন্য স্থায়ী তহবিল গঠন এবং স্বচ্ছতার সাথে পরিচালনায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। ৪. ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য উদ্যোক্তা কল্যাণ তহবিল গঠনে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা। ৫. ই-ক্যাবের সেক্রেটারিয়েটের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।  ৬. যারা ই-ক্যাবের জন্য কাজ করে তাদের সম্মানজনক স্বীকৃতির ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং নির্বাচনে জয়ী এবং পরাজিত সকল পক্ষকে নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করা। ৭. ইন্ডাস্ট্রির উদ্যমী সকল তরুণকে বিভিন্ন স্ট্যান্ডিং কমিটিতে যুক্ত করে তাদেরকে ই-ক্যাবের সমস্ত কাজের সাথে সম্পৃক্ত করতে ভূমিকা রাখা। ৮. স্বচ্ছতা এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে ই-ক্যাবের ট্রেনিং, মেলা ও ইভেন্টের কার্যাদেশ যেন ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন সদস্য কোম্পানি পেতে পারে সেজন্য জোরালো ভূমিকা রাখা।  ৯. ঢাকার বাইরের জেলাগুলোর জন্য বিভাগীয় কমিটি গঠন ও প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আঞ্চলিক কার্যালয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করা। ১০. সেলার কমিউনিটি, গ্রাহক কমিউনিটি, এফ কমার্স উদ্যোক্তা, দেশীয় পণ্য সেবার উদ্যোক্তা এ ধরনের ভিন্ন ভিন্ন খাতে আরো স্ট্যান্ডিং কমিটি গঠন। ১১. ই-ক্যাবের আর্থিক আয়-ব্যয়ের স্বচ্ছতা বিধানের জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করা। ১২. ই-কমার্স সেক্টরে পর্যাপ্ত তথ্য, উপাত্ত এবং দক্ষ জনবলের যে ঘাটতি রয়েছে তা দূর করতে ই-ক্যাব স্কিল ডেভেলপমেন্ট ও রিসার্চ ইন্সটিটিউট স্থাপন করা। পূর্ণাঙ্গ ই-ক্যাব ইউনিভার্সিটি স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা।  ১৩. সরকারি বিভিন্ন পলিসি মিটিংয়ে সদস্যদের অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেয়া। ১৪. বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে শুধু ইসি মেম্বার নয় বরং যে বিষয়ে ভ্রমণ সে বিষয় সংশ্লিষ্ট সদস্যকে অগ্রাধিকার দিতে ভূমিকা পালন করা। ১৫. ই-ক্যাব সদস্যদের নিজ দক্ষতা উন্নয়নে নিয়মিত কর্মশালা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।  ১৬. বিটুবি, বিটুসি, সিটুবি, বিটুজি, জিটুসি, জিটুবি থেকে শুরু করে মার্কেটপ্লেস, অনলাইন শপ, এক্সক্লুসিভ অনলাইন শপ, এফ কমার্স (ফেসবুক কমার্স), সফটওয়্যার ও অবিতরণযোগ্য পণ্য (ননডেলিভারিবল প্রডাক্ট), সেবা ফ্লাটফর্মসহ ই-কমার্স সংশ্লিষ্ট সকল খাতের সমস্যা সমাধান ও উন্নতিকরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করা।  

এর পাশাপাশি প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ ও ঐক্য প্যানেলের সদস্যরা ঘোষণা করেন, নির্বাচনের আগে ও পরে সবসময় উদ্যোক্তারা তাদের পাশে পাবেন। তারা আরো বলেন, উদ্ভূত সমস্যা সমাধানে সরাসরি সদস্যদের মতামত নিয়ে সমাধান করা হবে।

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল



এই পাতার আরো খবর