ব্রাজিলে পুরোপুরি নিষিদ্ধ হয়েছে ইলন মাস্কের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার)। সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে দেশটিতে সুবিধা নিচ্ছে সোশাল মিডিয়া স্টার্টআপ কোম্পানি ‘ব্লুস্কাই’। দেশটিতে ব্লুস্কাই ব্যবহারকারীর সংখ্যা তরতর করে বাড়ছে।
ব্লুস্কাইয়ের সক্রিয়তা ‘যে কোনো সময়ের চেয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে’ গিয়ে পৌঁছেছে বলে ঘোষণা দিয়েছে অ্যাপটি। তারা জানিয়েছে, এক সপ্তাহেই ২০ লাখ নতুন মানুষ যুক্ত হয়েছে তাদের প্ল্যাটফর্মে।
ব্লুস্কাইর প্রতিষ্ঠাতা টুইটারের সাবেক প্রধান নির্বাহী জ্যাক ডরসি। তাতে এক্স-এর মতো একই ধরনের বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে। এটি একটি বিকেন্দ্রীভূত কাঠামোর ভিত্তিতে তৈরি। এর লক্ষ্য হল, ব্যবহারকারীদের মধ্যে স্বচ্ছ উপায়ে যোগাযোগ স্থাপন করা।
অ্যাপটির অ্যালগরিদম এমনভাবে নকশা করা যাতে এর মধ্যে বিভিন্ন কর্পোরেশন, সরকার বা একক ব্যক্তির প্রভাব সীমিত করা যায়। এমনকি ব্যবহারকারীর হাতেই তার নিজস্ব ডেটার নিয়ন্ত্রণ থাকে এতে।
এর আগে ২০২৩ সালে অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস-এ উন্মোচনের পরপরই নতুন ব্যবহারকারীদের জোয়ার দেখেছিল অ্যাপটি। যেখানে বেশিরভাগ ব্যবহারকারী এসেছিলেন মাস্ক টুইটার অধিগ্রহণ করায়। সে সময় সাইনআপের মাত্রা এত বেশি ছিল যে, নতুন ব্যবহারকারী নিয়োগের সুযোগ সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছিল ব্লুস্কাই।
ব্রাজিলে এক্স নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত আসার পর দেশটিতে অ্যাপ চার্টের শীর্ষে অবস্থান করছে ব্লুস্কাই। যেখানে ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী থ্রেডস।
অ্যাপ বিশ্লেষক কোম্পানি ‘অ্যাপফিগার্স’-এর তথ্য অনুসারে, এক্স নিষিদ্ধ হওয়ার পর ব্রাজিলে ব্লুস্কাইয়ের ব্যবহারকারী বেড়েছে এক লাখ গুন।
গত সপ্তাহে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার আগে নিজের এক্স ফলোয়ারদের বিদায় জানিয়েছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। যেখানে তিনি ব্লুস্কাই’সহ অন্যান্য সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে থাকা নিজের অ্যাকাউন্টগুলোর লিংকও শেয়ার করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল