ঢাকা, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে দূরে থাকাই কি বেজোসের সফলতার মূল মন্ত্র?
অনলাইন ডেস্ক
জেফ বেজোস

বিশ্বখ্যাত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের সম্পদের পরিমাণ বর্তমানে ২০২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি। তিনি এখন বিশ্বের তৃতীয় ধনী ব্যক্তি। সম্প্রতি তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইকোনমিক ক্লাব অব ওয়াশিংটন ডিসিতে দেওয়া এক বক্তৃতায় নিজের সাফল্যের পেছনের কারণগুলো তুলে ধরেন।

বেজোসের মতে, প্রতিদিন সকালে তিনি নিজের জন্য এক ঘণ্টা আলাদা করে রাখেন, যেখানে তিনি কোনো ইলেকট্রনিক যন্ত্র ব্যবহার না করে বিভিন্ন বিষয়ে গভীরভাবে চিন্তা করেন। তার মতে, এই অভ্যাস সিদ্ধান্ত গ্রহণের দক্ষতা ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছে।

বেজোস আরও বলেন, সকালের এই প্রস্তুতি তাকে দিনের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকগুলোয় উজ্জীবিত করে তোলে। তিনি জানান, ‘আমি প্রতিদিন সকাল ১০টার পর আমার প্রথম বৈঠক রাখি, কারণ দুপুরের আগেই আমি আমার সর্বোচ্চ মানসিক শক্তি দিয়ে কাজ করতে পারি। বিকেলের দিকে আমার কর্মক্ষমতা কিছুটা হ্রাস পায়, তখন নতুন কোনো সমস্যা সমাধানে মনোযোগ দেওয়া কঠিন হয়। তাই পরের দিন সকাল ১০টায় আবার চেষ্টা করি।’

একটি পডকাস্টে বেজোস আরও জানান, তার দিন শুরু হয় খুব ধীরে। তিনি বলেন, ‘অনেকেই আমাকে অত্যন্ত সৃজনশীল মনে করেন, কিন্তু আসলে সকালে আমি ধীরে শুরু করি। আমি হাঁটাহাঁটি করি, ব্যায়াম করি, তবে দিনের প্রথম কয়েক ঘণ্টা বেশ ধীরস্থিরভাবে কাটাই।’

২০২০ সালে প্রকাশিত নিজের বই ইনভেন্ট অ্যান্ড ওয়ান্ডার-এ বেজোস লিখেছেন, 'আমি তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাই এবং আট ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করি। ভালো ঘুম আমাকে আরও বেশি সৃজনশীল করে তোলে, শক্তি দেয় এবং মন ভালো রাখে।' 

বেজোসের এই অভ্যাস সম্পর্কে স্ট্যানফোর্ড লাইফস্টাইল মেডিসিন প্রোগ্রামের থেরাপিস্ট মারিস লোফেলার উল্লেখ করেন, সকালে ফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস স্ক্রল করার অভ্যাস আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ধীরে ধীরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। যদিও মাঝে মধ্যে ফোন স্ক্রল করার প্রভাব কম, তবে এটি অভ্যাসে পরিণত হলে দীর্ঘমেয়াদে তা মানসিক স্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল



এই পাতার আরো খবর