ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

গাইবান্ধায় সকালে ভোটারদের উপস্থিতি কম
গাইবান্ধা প্রতিনিধি

গাইবান্ধা জেলার চারটি সংসদীয় আসনের ৪৭৩টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলছে। সকাল ৮টায় কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে একযোগে কেন্দ্রগুলোতে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ৪৭৩টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে দুর্গম চরাঞ্চলসহ ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্র রয়েছে অর্ধশতাধিক। এসব ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রগুলোতেও বাড়তি নিরাপত্তায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। 

গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনের হরিণসিংহা আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শুরুতে চারজন নারী ও দুই জন পুরুষকে ভোট প্রদান করতে দেখা গেছে। এ কেন্দ্রের ৭টি ভোট কক্ষে ৩ হাজার ৩শ’ ১৭ জন ভোটার তাদের ভোটারধিকার প্রয়োগ করবেন। 

ভোট প্রদান করে নারী ভোটার আসমা বেগম বলেন, ‘শুরুতেই কেন্দ্রে এসে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন। ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও পরিবেশ দেখে অনেক ভালো লাগছে। ভোট গ্রহণ শেষ পর্যন্ত এ অবস্থা চলছে সবাই তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন’। আবদুল মালেক নামে ভোটার বলেন, ‘সকালে ভোট দিতে ভালো লাগে। প্রতিটি নির্বাচনেই সকালেই কেন্দ্রে এসে ভোট দেন তিনি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে পেরে অনেক খুশিও হন তিনি’। 

গাইবান্ধা-২ আসনের উত্তরপাড়া ১নং প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ১০টায় গিয়ে দেখা যায় পুরুষ ভোটারদের  লাইনে ৬ জন দাঁড়িয়ে। নারী ভোটারদের লাইনে ৩০ জন নারী ভোটার লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা জিয়াউল হাফিজ বলেন, এ কেন্দ্রে মোট ভোটার ৪ হাজার ৭১২ জন, বেলা সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ১ হাজার ৫০০ জন তাদের ভোট প্রদান করেছেন। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়ছে বলে তিনি জানান।

গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মাহাবুবুর রহমান জানান, সকাল ৮টায় একযোগে ৪৭৩টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। ভোটাররাও উৎসাহ-উদ্দীপনায় ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট প্রদান করছেন। নির্বিঘ্নে ভোটাররা যাতে কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে পারেন সেজন্য কঠোর নিরাপত্তা রয়েছে কেন্দ্রগুলোতে। সাধারণ কেন্দ্রে অস্ত্রধারী একজন পুলিশ ও গুরুত্বপূর্ণ এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে অস্ত্রধারী দুইজন পুলিশ, ১০ জন নারী-পুরুষ আনছার ও দুইজন গ্রাম পুুলিশ দায়িত্ব পালন করছেন। 

তিনি আরও জানান, প্রতিটি কেন্দ্রেই বাড়তি নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাব সদস্যরা। কেন্দ্রগুলোতে টহল অব্যহত রাখবে সেনাবাহিনীর সদস্যদের। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ ও বিজিবি’র সদস্য নিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার দায়িত্বে আছেন ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১০ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট। 

গাইবান্ধার চারটি সংসদীয় আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিী প্রার্থী ছিলেন ৩০ জন। চারটি আসনে ভোটারধিকার প্রয়োগ করবেন ১৩ লাখ ৭৩ হাজার ৮শ’ ৬৫ জন। এরমধ্যে নারী ভোটার ৭ লাখ ২ হাজার ৭শ’ ৮৫ জন ও পুরুষ ভোটার ৬ লাখ ৭১ হাজার ৮০ জন। 

বিডি-প্রতিদিন/৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮/মাহবুব



এই পাতার আরো খবর