ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

ইভিএম'র কেন্দ্রে কারচুপির অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেন্দ্রে ‘অভিনব’ কায়দায় কারচুপি করা হচ্ছে ঢাকা-৬ আসনে। এমন অভিযোগ নিয়ে নির্বাচন কমিশনে এসেছেন গণঐক্যের ‘হারিকেন’ মার্কার প্রার্থী ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেকিট মুভমেন্টের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ।

রবিবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে তিনি নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের কাছে অভিযোগ নিয়ে গেলে সচিব দেখা না করে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করতে বলেন। পরে তিনি নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমি আমার নিজের এলাকার অনেক সেন্টারে ঢুকতে পারিনি। আমাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। নবাবপুর হাইস্কুল কেন্দ্রে আমি ঢুকতে পারিনি। সেখানে যখন বাধা দেওয়া হচ্ছিল, কোনো আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও পাইনি।

ববি হাজ্জাজ বলেন, ইভিএমের কেন্দ্রে ‘অভিনব’ কায়দায় কারচুপি করা হচ্ছে। আমরা তো আগে ভেবেছিলাম মেশিন ম্যানিপুলেশন হবে। এখন তো ভোটকেন্দ্রই দখল হচ্ছে। দু’ভাবে ইভিএমের কেন্দ্রে ভোট কারচুপি করা হচ্ছে। প্রথমত বুথে গিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে লাঙ্গল মার্কার লোকেরা ভোটারকে বলছে কোথায় ভোট দেবেন? আর এনআইডি কার্ড নিয়ে সেখান থেকেই বের করে দেওয়া হচ্ছে।

ইভিএমে ভোট দেওয়ার জন্য আঙ্গুলের ছাপ ও এনআইডি নম্বর দিয়ে ব্যালট ওপেন করা যায়। তারপর বুথে গিয়ে ভোট দিতে হয়। কারো আঙ্গুলের ছাপ না মিললে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ২৫ শতাংশ ব্যালট পেপার নিজে ওপেন করতে পারে।

এবারই প্রথমবারের মতো দেশে সংসদ নির্বাচনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। ঢাকা-৬ ও ১৩, খুলনা-২, রংপুর-৩, সাতক্ষীরা-২ ও চট্টগ্রাম-৯ আসনের পুরোটাই ইভিএমে ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন।

প্রিন্স মুসার এ ছেলে বলেন, আমাদের যেসব কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে-সেগুলো হলো-গেন্ডারিয়া হাইস্কুল, কবি নজরুল কলেজ, শের ই বাংলা হাই স্কুল, মনিজা রহমান বিদ্যালয়, সেন্ট জোসেফ স্কুল, সূত্রাপুর কমিউনিটি সেন্টার, কেএল জুবলি স্কুল, ফরাসঞ্জ কমিউনিটি সেন্টার, সিলভার ডেল স্কুল, ইস্ট বেঙ্গল স্কুল, ওয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাঈদ খোকন কমিউনিটি সেন্টার।

ববি হাজ্জাজ বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ২শ জনের মতো লোক বাইরে অবস্থান করছে। আর কেন্দ্রের ভেতরে ভোটকক্ষে ৪০-৫০জন করে অবস্থান নিয়েছে। এসব অনিয়মের কারণে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ১২টি কেন্দ্র বের করে দেওয়া অভিযোগ করেছি। কিন্তু বন্ধ করা হয়নি। এদিকে নির্বাচন কমিশনও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

ইসি সচিব বলেছেন, রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দেওয়া অভিযোগ তারা পেয়ে যাবেন। এখন কি আর করবো।  

বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ



এই পাতার আরো খবর