ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

হেরে গেলেন আলোচিত সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী ডা. সানসিলা
অনলাইন ডেস্ক

নবীন-প্রবীণের লড়াইয়ে জমে উঠেছিল শেরপুর-১ আসন। প্রচারে একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও পাল্টা-অভিযোগ বেশ উপভোগ্য হয়ে উঠেছিল। ধারণা করা হচ্ছিল দু'জনের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।

কিন্তু হয়েছে তার উল্টো। প্রবীণের কাছে ধরাশায়ী-ই হয়েছেন বয়সে নবীন ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী ছিলেন।

শেরপুর-১ আসনে ফের জয়ী হয়েছেন জাতীয় সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিক। তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ৮৭ হাজার ২৫২ ভোট। 

অন্যদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ডা. প্রিয়াংকা পেয়েছেন ২৭ হাজার ৬৪৩ ভোট। ডা. প্রিয়াংকা ভোটে কারচুপি ও কেন্দ্র দখলের অভিযোগ তুলেছেন। বলেছেন, তার আসনে ভোট ডাকাতি হয়েছে।

সর্বকনিষ্ট প্রার্থী প্রিয়াংকা জীবনের প্রথম ভোটটি এবারই দিলেন। নিজেকেই ভোট দিয়েছেন তিনি।

জন্ম তারিখ হিসেবে প্রিয়াংকার বর্তমানে বয়স মাত্র ২৫ বছর ৬ মাস। এবার তিনি শেরপুর-১ সদর আসনের বিএনপি মনোনীত, ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সমর্থিত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ছিলেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী টানা ৪ বারের এমপি হুইপ আতিউর রহমান আতিক।

পেশায় চিকিৎসক সানসিলা শেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা. হযরত আলীর মেয়ে।

এ আসনে বিএনপির মূল প্রার্থী ছিলেন হযরত আলী। তিনিসহ বিএনপির তিন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়েছে সানসিলার। তিনিই এ আসনে বিএনপির একমাত্র প্রার্থী হন।

সানসিলা স্থানীয়দের কাছে ডা. প্রিয়াংকা নামে পরিচিত। রাজনীতিতে আনকোরা প্রিয়াংকা চিকিৎসক হিসেবে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন। তিনি ধানমণ্ডির আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রভাষক।

ডিসেম্বর ২০১৮/৩১ ডিসেম্বর ২০১৮/আরাফাত



এই পাতার আরো খবর