ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

মার্কিন নির্বাচন যেন টাকা খরচের উৎসব
অনলাইন ডেস্ক

৩ নভেম্বর (মঙ্গলবার) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এরই মধ্যে জমে উঠেছে নির্বাচনের মাঠ, চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেন।   

এবার হোয়াইট হাউস, সিনেট ও কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ পাওয়ার লড়াইয়ের ব্যয় গিয়ে পৌঁছাবে ১ হাজার ৪০০ কোটি ডলার। করোনাভাইরাস মহামারী পরিস্থিতির কারণে নির্বাচনী ব্যয় বিশাল অংক ছুঁয়েছে। এবারও এসেছে কালো টাকা। নির্বাচনে অস্বাভাবিক টাকার প্রবাহকে বলা হয় ‘ডার্ক মানি’। অলাভজনক বিভিন্ন সংস্থা কিংবা নাম প্রকাশ করতে না চাওয়া দাতাদের অর্থই ডার্ক মানি হিসেবে পরিচিত। 

সেন্টার ফর রেসপনসিভ পলিটিকসের হিসাবে দেখা যাচ্ছে, রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জো বাইডেনের মধ্যকার লড়াইয়ে খরচ হবে প্রায় ৬৬০ কোটি ডলার। এই ব্যয় বাড়ার নেপথ্যে ভূমিকা রয়েছে উভয় দলের দাতাদের। অনলাইন ও ছোট ছোট দাতার সংখ্যা বাড়তে থাকাই প্রচার শিবিরের তহবিল বৃদ্ধিতে মূল ভূমিকা রেখেছে। একই সময়ে শত শত কিংবা লাখ লাখ কোটি ডলারের মালিকরাও উদারভাবে প্রচার শিবিরগুলোতে অর্থ দিয়েছেন। সংগ্রহ করা তহবিলের বড় অংশই যাচ্ছে টেলিভিশন বিজ্ঞাপনের ব্যয়ে। 

বিজ্ঞাপন পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাডভার্টাইজিং অ্যানালিটিকসের হিসাবে, এই বছর কেবল প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে টেলিভিশন বিজ্ঞাপনেই ব্যয় হচ্ছে ১৮০ কোটি ডলার। সবচেয়ে ব্যয়বহুল ১০টি সিনেট আসনের নির্বাচনের আটটিই ২০২০ সালে। এর মধ্যে রয়েছে নর্থ ক্যারোলিনা। অঙ্গরাজ্যটির দুই প্রার্থী সিনেট সদস্য রিপাবলিকান থম টিলিস এবং ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী কাল কানিংহাম ইতিমধ্যে ২৭ কোটি ২০ লাখ ডলার খরচ করে ফেলেছেন। ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী ও তাদের মিত্ররা এই বছর ৫৫০ কোটি ডলার ব্যয় করে ফেলেছেন। এর তুলনায় রিপাবলিকানদের ব্যয় ৩৮০ কোটি ডলার।

বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ



এই পাতার আরো খবর