ঢাকা, বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

বাইডেন প্রশাসনে বাংলাদেশির অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা
লাবলু আনসার, যুক্তরাষ্ট্র
বাইডেনের বিজয়ে আনন্দ র‌্যালি। ছবি-বাংলাদেশ প্রতিদিন।

আমেরিকানদের প্রত্যাশার পরিপূরক হিসেবে ২০ জানুয়ারি শপথ গ্রহণের পরই ৪৬তম প্রেসিডেন্ট যো বাইডেন ট্রাম্পের গণবিরোধী সকল নির্বাহী আদেশ বাতিল/বিলুপ্তর নির্দেশ জারি করবেন। 

এর মধ্যদিয়েই আমেরিকা আবারো বিশ্ব সম্প্রদায়ের নৈকট্য লাভের পথে অগ্রসর হবে। বাইডেন টিমের পদস্থ এক কর্মকর্তা/সংগঠক রবিবার এ আভাস দিয়েছেন। বিশেষ করে মুসলমান অধ্যুষিত রাষ্ট্রসমূহের নাগরিকদের ভিসা প্রদানে কড়াকড়ির নির্দেশ, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সাথে সম্পর্কচ্ছেদের ব্যাপারটি যুক্তরাষ্ট্রকে একঘরে করে ফেলার মত অকল্পনীয় একটি পরিস্থিতি তৈরী করেছে। শিশুকালে মা-বাবার সাথে বেআইনী পথে যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর যারা অভিবাসনের স্ট্যাটাস পায়নি, অথচ তারা যুক্তরাষ্ট্রের আলো-বাতাসে বড় হয়েছে, উচ্চ শিক্ষালাভ করেছেন, যারা জন্মগ্রহণকারি দেশটি আর কখনো দেখেননি বা সেই দেশের ভাষা-সংস্কৃতির সাথেও পরিচিত নন-এমন ৮ লক্ষাধিক তরুণ-তরুণীর বৈধতার যে রোডম্যাপ ওবামা প্রশাসন জারি করেছিল, সেই ড্যাকা নিষিদ্ধে ট্রাম্পের আদেশটিও বাতিল করা হবে। 

উল্লেখ্য যে, মাঠ পর্যায়ে খোঁজ-খবর নেয়ার মাধ্যমে বাইডেন টিম জনপ্রত্যাশার পরিপূরক আরো কিছু পরিকল্পনার কথা ইতিমধ্যেই যো বাইডেনকে অবহিত করেছেন বলে জানা গেছে। তারমধ্যে বহুবছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বাস করেও গ্রীনকার্ড পাননি এমন সোয়া কোটি কাগজপত্রহীন বিদেশীর মধ্যে যারা নিয়মিত ট্যাক্স দিয়েছে, শ্রম ও মেধার বিনিয়োগ ঘটিয়েছে জন্মগত আমেরিকানদের মত, তাদের শর্তসাপেক্ষে বৈধতা প্রদানের বহুল প্রতাশিত দাবির ব্যাপারও দিক-নির্দেশনা আসতে পারে। নির্বাচনী অঙ্গিকার পূরণে শুরু থেকেই আন্তরিক উদ্যোগ নেয়া হবে বলেও শোনা যাচ্ছে। 

ইতিমধ্যেই করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ/নিয়ন্ত্রণে একটি টাস্কফোর্স গঠনের ব্যাপারেও শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্য-বিজ্ঞানী আর বিদগ্ধজনদের সাথে চূড়ান্ত বিজয়ের পথে থাকাবস্থায়ই বাইডেন আর কমলা কথা বলেছেন। আর এই টাস্কফোর্সের কো-চেয়ার হতে যাচ্ছেন সাবেক সার্জন জেনারেল তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিবেক এইচ মার্থি এবং অবসরপ্রাপ্ত এফডিএ কমিশনার ডেভিড কেসলার। করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ/নির্মূল/প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্র সারাবিশ্বে নেতৃত্ব প্রদানে সক্ষম হয়-এমনভাবে সবকিছু সাজানোর কথা ভাবছেন বাইডেন-এ কথা ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনেও শনিবার উল্লেখ করা হয়েছে। 

এদিকে, ডেমক্র্যাটিক পার্টির শীর্ষ পর্যায়ের লোকজনের মতে বাইডেন-কমলা প্রশাসনে বাংলাদেশি আমেরিকানরাও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেতে পারেন। কারণ, এবারের নির্বাচনে বাংলাদেশি আমেরিকানদের সোচ্চার থাকার বিষয়টি উভয়কেই মুগ্ধ করেছে। স্মরণ করা যেতে পারে, সাউথ এশিয়ান্স ফর বাইডেন’র চীফ এডভাইজার ছিলেন ক্লিন্টন আমলের মার্কিন রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালনকারি ওসমান সিদ্দিক। তার সার্বিক তত্ত্বাবধানে সারা আমেরিকায় ‘বাংলাদেশীজ ফর বাইডেন’ মোর্চা গঠিত হয়। 

আরো উল্লেখ্য, ওবামা আমলে বাংলাদেশি ড. নীনা আহমেদ ছিলেন এশিয়া বিষয়ক উপদেষ্টা। ড. নীনা এবার ডেমক্র্যাটিক পার্টির মনোনয়নে পেনসিলভেনিয়া স্টেট এটর্নি জেনারেল পদে লড়ে ৩০ লক্ষাধিক ভোট পেয়েও জয়ী হতে পারেননি। তার ব্যাপারেও বাইডেন-কমলার দুর্বলতা রয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। 

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন 



এই পাতার আরো খবর