ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

সত্যিই কি বিশ্বকাপের জন্য অফিস-দোকান এমনকি শেষকৃত্য অনুষ্ঠানেও যাবেন না তারা?
অনলাইন ডেস্ক
প্রতীকী ছবি

আজ শুরু হচ্ছে ফুটবলের মহারণ বিশ্বকাপ। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায়, বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে স্বাগতিক কাতার ও ইকুয়েডর। আর ম্যাচের আগে হবে জাঁকজমকপূর্ণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। উদ্বোধন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফুটবলের বইয়ে লেখা হবে নতুন অধ্যায়। কেননা, বিশ্বকাপের ৮৮ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম নভেম্বর-ডিসেম্বরে হচ্ছে বিশ্বকাপ, অর্থাৎ শীতকালে আয়োজন করা এই মহারণ।

বিশ্বকাপ নিয়ে বিশ্বব্যাপী উত্তেজনার শেষ নেই। বিভিন্ন দেশের ন্যায় এবার উত্তেজনায় উত্তাল গ্রেট ব্রিটেনের সাংবিধানিক দেশ ওয়েলস। কারণ, ৬৪ বছর পর বিশ্বকাপের চূড়ান্ত আসরে খেলার সুযোগ পেয়েছে দেশটি। এজন্য সেখানে উত্তেজনার মাত্রাটাও একটু বেশি।

স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, আপাতত বিশ্বকাপ ছাড়া অন্য কিছু ভাবতে নারাজ ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের ফুটবলপ্রেমীরা। প্রয়োজনে যাবেন না অফিসে। খুলবেন না দোকানপাট। এমনকি কেউ মারা গেলে তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানেও যেতে আগ্রহী নন সেখানকার বাসিন্দারা। এবার ইংল্যান্ড ও সাংবিধানিক দেশ ওয়েলস এক সঙ্গে বিশ্বকাপ খেলছে, সে কারণেই উত্তেজনায় উন্মাদ এই দুই দেশের ফুটবলপ্রেমীরা। 

কাতারে ভাল কিছু করতে মরিয়া গ্যারেথ বেলের ওয়েলস। অন্যদিকে, গতবার সেমিফাইনালিস্ট ইংল্যান্ডও চায় ভাল কিছু করতে। ১৯৬৬ সালের চ্যাম্পিয়নরা দ্বিতীয়বার দেশে নিয়ে যেতে চান ট্রফি।

দু’দলের সমর্থকরাই এখন বিশ্বকাপ ছাড়া অন্য কিছু ভাবতে নারাজ। প্রায় ৫০ শতাংশ ফুটবলপ্রেমী সাফ জানিয়েছেন, অফিস না যাওয়ার জন্য চাকরি গেলে যাক। পরে ভাবা যাবে। বিশ্বকাপের খেলা কোনওভাবেই বাদ দেওয়া যাবে না।

বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের প্রথম খেলা ২১ নভেম্বর ইরানের বিরুদ্ধে। একই দিনে ওয়েলস অভিযান শুরু করবে আমেরিকার বিরুদ্ধে। অর্থাৎ, একদম প্রথম থেকেই দু’দেশের ফুটবলপ্রেমীদের বিশ্বকাপ শুরু হয়ে যাবে। অনেকেই প্রিয় দলের খেলা দেখতে কাতার পৌঁছে গেছেন। যারা দেশে আছেন, তারা বসবেন টেলিভিশনের সামনে। প্রিয় দলের খেলার এক সেকেন্ডও চোখের আড়াল করতে চান না তারা।

ইংল্যান্ডের ফুটবলপ্রেমীদের ৪৭ শতাংশ জানিয়েছেন, বিশ্বকাপের সময় কোনও কাজ করবেন না। ইংল্যান্ডের আরও ১৩ শতাংশ ফুটবলপ্রেমী বলেছেন, দলের খেলা থাকলে বাড়ির বাইরে পা রাখার প্রশ্নই নেই। অফিসে সাফ জানিয়ে দেবেন, খেলা ছেড়ে কাজ করা সম্ভব নয়। ১৫ শতাংশ জানিয়েছেন, খেলার সময় কাজ নয়। অফিস বললে অন্য সময় গিয়ে কাজ করে দিতে পারেন। 

অন্যদিকে, ওয়েলস সমর্থকদেরও ৪১ শতাংশ বিশ্বকাপের সময় কাজ করতে নারাজ। ওয়েলস সমর্থকদের ৪০ শতাংশ জানিয়েছেন দলের খেলার সময় কোনও সেমিনার বা বৈঠক থাকলে সযত্নে এড়িয়ে যাবেন।

এই পর্যন্ত ঠিকই ছিল। ফুটবল-পাগল জনতার একাংশ আরও অনড়। ইংল্যান্ডের ১০ শতাংশ ফুটবলপ্রেমী জানিয়ে দিয়েছেন, দলের খেলার সময় কোনও আত্মীয়-স্বজনের মৃত্যু হলেও যাবেন না শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে। আর ৭ শতাংশ জানিয়েছেন, কারও মৃত্যুর খবর পেলে গেলেও তারা মোবাইলে খেলা দেখবেন। অর্থাৎ, উপস্থিতিই যথেষ্ট। ইংল্যান্ডের ৭ শতাংশ ফুটবল সমর্থক আবার জানিয়েছেন, এই সময় সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে শারীরিক ঘনিষ্ঠতাও এড়িয়ে চলবেন। সূত্র: ডেইলি স্টার ইউকে বিডি প্রতিদিন/কালাম



এই পাতার আরো খবর