ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

সাম্প্রতিক হতাশা ভুলে বিশ্বকাপে বড় কিছুর আশায় স্পেন
অনলাইন ডেস্ক
সংগৃহীত ছবি

শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে নেমে গ্রুপ পর্বেই বিদায়। পরের আসর শেষ নকআউট পর্বের শুরুতেই। বিশ্বকাপের গত দুইটি আসর স্পেনের জন্য কেটেছে দুঃস্বপ্নের মতো। এসব ক্ষতে প্রলেপ দিতে তারুণ্যে ভরসা লুইস এনরিকের দলের। অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার আসপিলিকুয়েতা আত্মবিশ্বাসী, পেদ্রি-ফাতিদের নিয়ে বিশ্বকাপে বড় কিছু করা সম্ভব। 

দারুণ দাপুটে ফুটবল খেলে ২০০৮ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে বিশ্বকাপ জয়ের আগে-পরে দুইটি ইউরোও জেতে স্পেন। ২০১৪ বিশ্বকাপেও তাদের নিয়ে আশাবাদী ছিলেন অনেকে। কিন্তু নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হারের পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা। গ্রুপে তৃতীয় হয়ে বিদায় নেয় ব্রাজিল আসর থেকে। 

এরপর রাশিয়া বিশ্বকাপে স্পেন বিদায় নেয় শেষ ষোলো থেকে। এরপর দলটিতে আসে বেশ কিছু পরিবর্তন। কোচ হন এনরিকে, যিনি শুরু থেকেই দলে তরুণ খেলোয়াড়দের প্রাধান্য দিয়ে আসছেন।  বিশ্বকাপের জন্য স্পেনের ২৬ জনের চূড়ান্ত স্কোয়াডেও রয়েছে তরুণদের জয়জয়কার। ১৪ জন খেলোয়ার আছেন ২৫ বছর বা তার কম বয়সী। ২০১০ বিশ্বকাপ জয়ী দলের একমাত্র সদস্য হিসেবে আছেন অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার সের্হিও বুসকেতস। 

বৈশ্বিক আসরে 'ই' গ্রুপে থাকা স্পেনের প্রথম ম্যাচ আগামী ২৩ নভেম্বর, কোস্টা রিকার বিপক্ষে। সংবাদ সম্মেলনে শনিবার (১৯ নভেম্বর) নিজের তৃতীয় বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া আসপিলিকুয়েতা বললেন, পেদ্রি, গাভি, আনসু ফাতিদের মতো খেলোয়াড়দের হাত ধরে বিশ্বকাপে সাম্প্রতিক হতাশা ভুলতে চান তারা। 

তিনি আরও বলেন, এটি সত্যি যে আগের অভিজ্ঞতাগুলো (২০১৪ ও ২০১৮ বিশ্বকাপ) আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি। তরুণ একটি দল নিয়ে ফুটবল আমাদের একটি সুযোগ দিয়েছে। অন্যান্য বিশ্বকাপ থেকে বড় পার্থক্য হলো (২০১০ বিশ্বকাপ) চ্যাম্পিয়ন দল থেকে শুধু বুসকেতসই রয়ে গেছে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, ফুটবল দিন দিন আরও প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠছে।

চেলসির হয়ে ক্লাব ফুটবলের সম্ভাব্য সব শিরোপা জেতা আসপিলিকুয়েতা তার ট্রফি ক্যাবিনেটে এবার যোগ করতে চান বিশ্বকাপের শিরোপা। তিনি বলেন, ২০১৩ সালে কাতারের মাটিতে উরুগুয়ের বিপক্ষে আমার স্পেন দলে অভিষেক হয়েছিল। তাই এখানে একটি অসাধারণ দলের সঙ্গে বিশ্বকাপ জেতা একটি ভালো গল্প হবে।

বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ



এই পাতার আরো খবর