ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

পরিকল্পনার সঠিক বাস্তবায়ন করেই স্মরণীয় জয়: জাপান কোচ
অনলাইন ডেস্ক
হাজিমে মোরিইয়াসু।

ম্যাচের বেশিরভাগ সময় জার্মানির আক্রমণ সামলাতেই ব্যস্ত থাকতে হলো জাপানকে। পরাজয় যখন আসন্ন, তখনই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে জার্মানদের স্তব্ধ করে দেয় এশিয়ার দলটি। ম্যাচের পর দলের কোচ হাজিমে মোরিইয়াসু বললেন, ছক কেটে, পরিকল্পনার সঠিক বাস্তবায়ন করেই এই স্মরণীয় জয় তুলে নেন তারা।

আল রাইয়ানের খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে বুধবার (২৩ নভেম্বর) বিশ্বকাপের ‘ই’ গ্রুপের ম্যাচে চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের ২-১ গোলে হারিয়ে অঘটনের জন্ম দেয় জাপান। ম্যাচের অষ্টম মিনিটে পাল্টা-আক্রমণ থেকে জার্মানির জালে বল পাঠায় জাপান। তবে অফসাইডের কারণে গোল মেলেনি। এরপর একের পর এক আক্রমণে তাদের চেপে ধরে জার্মানরা।

৩৩তম মিনিটে ইলকাই গিনদোয়ানের পেনাল্টি গোলে এগিয়ে যায় হান্স ফ্লিকের দল। অনেকটা সময় জুড়ে দ্বিতীয় সেরা দল হয়ে থাকা জাপানকে ৭৫তম মিনিটে সমতায় ফেরান রিতু দোয়ান। আট মিনিট পর জার্মানদের স্তব্ধ করে জাপানকে এগিয়ে নেন তাকুমা আসানো। দ্বিতীয়ার্ধে মোরিইয়াসুর বদলি নামানো পাঁচ ফুটবলারের দুজন তারা।

জার্মানির বিপক্ষে তিনবারের দেখায় জাপানের প্রথম জয় এটি। ম্যাচের পর মোরিইয়াসু বলেন, নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করেই ধরা দিয়েছে তাদের এই জয়। আমরা আক্রমণাত্মক শুরু করতে চেয়েছিলাম, খেলায় আধিপত্য বিস্তার করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু জার্মানি খুব শক্তিশালী দল, তাই আমাদের অবিচল থেকে রক্ষণ সামলানো এবং সুযোগ কাজে লাগানোর দরকার ছিল।

তিনি আরও বলেন, আমাদের কৌশলে অনেক বিকল্প ছিল এবং আমরা অনেকরকম পরিস্থিতির কথাই বিবেচনা করেছিলাম। আমরা জানতাম যে আমরা পিছিয়ে পড়তে পারি, এমন কিছুর জন্যও পরিকল্পনা করেছিলাম, তার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম।

চার বছর আগে রাশিয়া বিশ্বকাপে শেষ ষোলোয় বেলজিয়ামের বিপক্ষে ম্যাচের ৬৮ মিনিট পর্যন্ত ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল জাপান। এরপর পাঁচ মিনিটের মধ্যে দুই গোল শোধ করে বেলজিয়ানরা। আর যোগ করা সময়ের গোলে তারা তুলে নেয় ৩-১ ব্যবধানের নাটকীয় জয়।

সেই ম্যাচের প্রসঙ্গ টেনে মোরিইয়াসু বললেন, ইউরোপের ক্লাব ফুটবলে খেলার সুবাদে তাদের খেলোয়াড়রা এখন ম্যাচ পরিস্থিতি ভালো বুঝতে পারেন। শেষ দিকে তারা (জার্মানি) পুরো শক্তি নিয়ে আমাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। অতীতে এরকম অবস্থায় হয়তো আমরা হেরে যেতাম। কিন্তু আমাদের খেলোয়াড়রা জার্মানি এবং ইউরোপে খেলছে, তারা সেখান থেকে অনেক কিছু শিখেছে, তাই আমরা লিড ধরে রাখতে পেরেছি।

জাপানের দুই গোলদাতাই খেলেন জার্মানির ঘরোয়া ফুটবলে। দোয়ান ফ্রেইবুর্কে। আর আসানো খেলেন বোহমে। সব মিলিয়ে জাপানের বিশ্বকাপ স্কোয়াডের আট জন খেলেন জার্মান ক্লাবে। জাপানের ফুটবলের বিকাশে জার্মানির অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন মোরিইয়াসু। তিনি বলেন, এই লিগগুলি খেলোয়াড়দের বিকাশে অবদান রেখেছে। আমরা কৃতজ্ঞ। কিন্তু যখন ম্যাচের সময় আসে, আমরা জয়ের জন্যই নামি।

বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ



এই পাতার আরো খবর