ঘানার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নিজেদের বিশ্বকাপ অভিযান করেছে পর্তুগাল। দোহার স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষ হয়েছে গোলশূন্য অবস্থায়। এতে হতাশায় পুড়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। তার মিসেই শেষ পর্যন্ত গোল ছাড়া বিরতিতে যায় পর্তুগাল। ৭১ শতাংশ সময় বল দখলে রেখেও গোলের দেখা পায়নি পর্তুগিজরা।
ম্যাচের দশম মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো পর্তুগাল। মাঝমাঠ থেকে বেনার্দো সিলভা উড়িয়ে মারেন ডি বক্সে। ঘানার ডিফেন্ডারদের সামনে রোনালদো ছিলেন। নিজের নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি। গোলরক্ষকের সঙ্গে সংঘর্ষে পড়ে যান মাটিতে। সহজ সুযোগ মিস করে পর্তুগাল। ১৩তম মিনিটে কর্নার থেকেও লাফিয়ে উঠে হেড দিতে গিয়ে বাইরে মেরে দেন।
৩১ মিনিটে ডি বক্সের বাম কোনায় জোয়াও ফেলিক্সের পাস রোনালদোর কাছে আসে। দুই ডিফেন্ডারকে পরাস্ত করে কোনাকুনি শটে বল জালে জড়ান। কিন্তু বল নিজের নিয়ন্ত্রণে নিতে গিয়ে ফাউল করেন। এটাই কাল হলো। গোল দিয়েও উল্লাস করতে পারেননি। কেননা ফাউলের সঙ্গে সঙ্গেই রেফারি বাঁশি বাজান। রোনালদোর কিছু করার ছিল না।
এটি রোনালদোর পঞ্চম ও শেষ বিশ্বকাপ। এর আগে চার বিশ্বকাপে ২০০৬ সালেই কেবল দলকে সেমিফাইনালে তুলতে পেরেছিলেন রোনালদো। সেবার অবশ্য দলটির নেতৃত্বে ছিলেন লুইস ফিগো। এরপরের তিন আসরে কখনোই শেষ ষোলোর গণ্ডি পেরুতে পারেনি রোনালদোরা।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক