ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

কাতারের ‘স্টেডিয়াম নাইন সেভেন ফোর’ পাওয়া নিয়ে যা বললেন বাফুফে সহ-সভাপতি
অনলাইন ডেস্ক
সংগৃহীত ছবি

ফিফার ২২তম আসরের জন্য আটটি ভেন্যু তৈরি করে কাতার। এর মধ্যে অন্যতম ‘স্টেডিয়াম নাইন সেভেন ফোর’। কাতারের ডায়ালিং কোড নম্বর হচ্ছে, নাইন সেভেন ফোর-৯৭৪। তাই স্টেডিয়ামটি তৈরিতেও ৯৭৪টি কনটেইনার ব্যবহার করা হয়েছে। আর এই কারণেই এর নামকরণ করা হয় ‘স্টেডিয়াম নাইন সেভেন ফোর’। স্টেডিয়ামটিতে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স, পর্তুগালসহ অনেক দলই খেলেছে। খেলেছেন মেসি-রোনালদো-নেইমার-এমবাপ্পের মতো বিশ্ব সেরা ফুটবল তারকারাও। 

কাতারের সামুদ্রিক এলাকার পাশেই তৈরি করা স্টেডিয়ামটিতে দর্শকাসন ছিল ৪০ হাজার। ৯৭৪টা কনটেইনার দিয়ে এটিকে অস্থায়ীভাবে তৈরি করা হয়। ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটিই প্রথম অস্থায়ী স্টেডিয়াম। মডিউলার স্টিল ও শিপিং কন্টেনার দিয়ে তৈরির কারণে সহজেই ভেঙে ফেলা যাবে এই স্টেডিয়াম। স্টেডিয়াম ভাঙার সময় যাতে দূষণ না হয়, তা আলাদা ভাবনাও নিয়েছে কাতার প্রশাসন। এমনকি প্রয়োজনে ওই কন্টেনার পুনরায় ব্যবহারও করা যাবে। এমনি চাইলে অন্য দেশেও স্থানান্তর করা যাবে।

জানা গেছে, কাতারের আয়োজক কমিটি ঘোষণা করেছে খেলা শেষে স্টেডিয়ামটি ফুটবল খেলায় অনুন্নত দেশকে উপহার হিসেবে দেয়া হবে। এর পরই গুঞ্জন ওঠে বিশ্বকাপের স্মৃতিবিজড়িত এই স্টেডিয়াম বাংলাদেশে আনার পরিকল্পনার করছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমেও এ নিয়ে সংবাদ প্রচার হয়। 

তবে বাফুফের সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মানিক গণমাধ্যমকে জানান, স্টেডিয়াম নাইন সেভেন ফোর বাংলাদেশে আনার বিষয়টি মিথ্যা। স্টেডিয়ামটি আনতে এবং এটি পুনরায় বসাতে যে অর্থ ব্যয় হবে তা বাফুফের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। স্টেডিয়ামটি বসাতে জমির প্রয়োজন। উন্নত রাস্তা-ঘাটের প্রয়োজন। কেবল স্টেডিয়াম আনলেই হবে না। এর জন্য বাকি যেসব উপাদান প্রয়োজন তার সাপোর্ট বাফুফের নেই। 

তিনি আরও বলেন, কাতার যদি আমাদের স্টেডিয়াম দেয়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে সাপোর্ট করতো তাহলে আমরা সেটিকে কাজে লাগাতে পারতাম। কারণ আমাদের লিগের ম্যাচগুলো কষ্ট করে খেলছেন ফুটবলাররা।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত



এই পাতার আরো খবর