ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

মেসি মহাকাব্যে অবতার যারা
অনলাইন প্রতিবেদক

‘এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাওয়ার তার শ্রেষ্ঠ সময়’। হেলাল হাফিজের এই কবিতার পঙতিকেই যে বাস্তব করে তুলেছে লিওনেল মেসি বাহিনী।

এবারের বিশ্বকাপে জীবনের সাথে যৌবন আর তারুণ্যের রঙ মিশিয়ে মেসির সতীর্থরা আঁধারকে করেছে আলো, অশুভকে করেছে শুভ আর মন্দকে ভালো।

সাবলীল আর্জেন্টিনাকে দেখে কে বলবে প্রথম কদমেই ওরা হোঁচট খেয়েছিল, পলকা ঢেউয়েই ওদের তরী হয়েছিল টালমাটাল?

অভিজ্ঞতার ঝুলির সবটুকু উজাড় করে দিয়েছেন মেসি। হুলিয়ান আলভারেজ, এনজো ফার্নান্দেজ কিংবা মলিনারা সেই সনাতন বটবৃক্ষের পত্রে লাগিয়েছেন তারুণ্যের রঙ। তাতেই উড়েছে বিজয় কেতন, বেজেছে ঘণ্টা, জমেছে মহারণ।

সৌদির কাছে পতনের পর, মেক্সিকোর বিপক্ষে নতুন ঘর গড়বার দিনে এলএমটেনের সাথে ছিলেন তরুণ এনজো; দিয়েছেন দারুণ সঙ্গ। চোখ ধাঁধানো ছিল সেই সুর তাল ছন্দ।

পোল্যান্ডের বিপক্ষে তরুণরাই ব্যাটন তুলে নিয়েছে হাতে, অ্যালেক্সি ম্যাক অ্যালিস্টার আর আলভারেজে উত্তাল নদী আর্জেন্টিনা সহজেই হয়ে গেছে পার; শুরু হয়েছে নতুন সময়, মিলেছে আধিপত্যের দ্যোতনা, এসেছে মুহূর্ত ছড়ি ঘোরাবার।

শেষ ষোলোতেও সেই মায়াবী পঙতির গণ্ডি পেরোবার গান। মেসির সাথে আলভারেজ আর এনজো, আলবিসেলেস্তে বিপ্লবে অজিদের স্বপ্ন ভঙ্গ। কোয়ার্টারেও ছিল শঙ্কা, ছিল বলাবলি এবারই বুঝি শেষ, ও হবার নয়। তবে মলিনা আর মেসির মূল সময়ের গোলের পর, টাইব্রেকারে আর্জেন্টাইনরা তুলেছে রীতিমতো ঝড়।

সেমিতেও ছিল নেতিবাচক সুর। শোনা যাচ্ছিল মেসিরা ক্রোয়াটদের জমাট রক্ষণে পড়বে কাটা, থামবে জয়রথ; ফাইনালের পথ নাকি অনেক দূর। তবে তেমন কিছু নয়, কাটিয়ে সব ভয়; মেসি আর আলভারেজে দারুণ দাপটে, আঘাত হেনে অভিশাপের কপাটে ওরা পৌঁছে গেছে ফাইনালের আঙিনায়।

এমন অভিজ্ঞতা যাদের আছে, যাদের হাতের তারায় তারুণ্য আর দক্ষতা একসাথে নাচে। সেই মেসিদের থামিয়ে দেওয়া নিশ্চয়ই অতো সহজ নয়, আকাশী-সাদা এবারই কী তবে হয়ে উঠবে বিশ্বকাপময়? প্রশ্নটা চেয়ে আছে সময়ের দিকে, উত্তর মেলানোর অপেক্ষায়।

 

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল



এই পাতার আরো খবর