ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

৯৭ সেকেন্ডের ব্যবধানে এমবাপ্পের দুই গোল, সমতায় ফ্রান্স
অনলাইন ডেস্ক
সংগৃহীত ছবি

প্রথমার্ধে খুঁজেও পাওয়া যায়নি তাকে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও সেই একই অবস্থা। অন্যদিকে, আর্জেন্টিনা ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে ৩৬ বছর পর বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখছিল। স্বপ্ন দেখছিলেন লিওনেল মেসিও। কিন্তু বোতলবন্দী কিলিয়ান এমবাপ্পে যেন গ্রিক রূপকথার মতো ঠিক ছাই থেকে ফিনিক্স পাখির মতো জেগে ওঠলেন। ৭৯ মিনিট পর্যন্ত যাকে অসহায় মনে হচ্ছিল। সেই তিনিই ৯৭ সেকেন্ডের ব্যবধানে দুই গোল করে বদলে দিলেন ফাইনালের চিত্রনাট্য। ম্যাচে ফিরল ফ্রান্স ফাইনাল যেন একেই বলে! লুসাইল স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর ২-২ গোলের সমতা থাকায় খেলা গড়াল অতিরিক্ত সময়ে।

এদিন, প্রথমার্ধের ২১তম মিনিটে বাঁ দিক থেকে হুলিয়ান আলভারেসের পাওয়া বল বক্স থেকে শট নিতে যাচ্ছিলেন আনহেল দি মারিয়া। কিন্তু সেই মুহূর্তে তাকে ধাক্কা দিয়ে বসেন উসমান দেম্বেলে। সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট কিক থেকে সহজেই আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন মেসি। শুধু তা-ই নয়, একমাত্র ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপের এক আসরে গ্রুপ পর্ব, শেষ ষোলো, কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনালে গোল করার কীর্তি গড়লেন তিনি। তাছাড়া বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ২৬ ম্যাচ খেলার রেকর্ডও তার।

৩৬তম মিনিটে উপমেকানোর ভুলে নিজেদের অর্ধে বল পায় মেসি। দারুণ দক্ষতায় মাক আলিস্তারকে বল বাড়ান তিনি। টেনে নিয়ে বক্সে আলিস্তার খুঁজে নেন দি মারিয়াকে। দারুণ এক শটে লরিসকে পরাস্ত করে বল জালে পাঠান জুভেন্টাসের এই ফরোয়ার্ড। ব্যবধান দ্বিগুণ করে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা। বিরতির আগেই আক্রমণভাগে দুই পরিবর্তন আনেন ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশম। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না। শেষে দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে এমবাপ্পের জাদুতে সমতায় ফেরে ফ্রান্স। 

বিডি-প্রতিদিন/শফিক



এই পাতার আরো খবর