বিশ্বকাপের কয়েক মাস আগে ইউরোপ আর দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলের তুলনা করতে গিয়ে ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবলের পিছিয়ে থাকার কথা বলেছিলেন। অনেক লাতিন ফুটবলার তখন এই কথার প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। বিশ্বকাপে ফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে হারার সেই কথা নিয়ে এমবাপ্পেকে খোঁচা শুনতে হলো।
দক্ষিণ আমেরিকার কোনো দল কাতার বিশ্বকাপের আগে শেষবার বিশ্বকাপ জিতেছিল ২০০২ সালে। এরপর বিশ্বকাপ ফুটবল ইউরোপিয়ানদের রাজত্ব দেখেছে। ২৩ শেষ করে ২৪ এ পা দেওয়া এমবাপ্পে স্বাভাবিকভাবেই ফুটবলে ইউরোপিয়ানদের রাজত্বটা দেখে এসেছেন। এ কারণে ইউরোপ আর দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলের তুলনায় তিনি বলেছিলেন, ‘ইউরোপের ফুটবল যতটা এগিয়েছে, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ততটা এগোতে পারেনি দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল। সে কারণেই শেষ বিশ্বকাপগুলোয় কেবল ইউরোপের দলগুলোই জিতেছে।’
সদ্য সমাপ্ত কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে এমবাপ্পে অবশ্য যা করেছেন, ইউরোপিয়ান ফুটবলের পতাকা ওড়ানোর সব যোগ্যতা তার আছে, সেটা নিশ্চিত। টাইব্রেকারে গড়ানো ম্যাচে শেষ পর্যন্ত শিরোপা জিততে পারেননি, তবে ফাইনালে হ্যাটট্রিকসহ ৮ গোল করে সোনালি বুট জিতেছেন এই তারকা। কিন্তু শিরোপা তো আর জিততে পারেননি। চিলির মিডফিল্ডার আর্তুরো ভিদাল সেই সুযোগটাই নিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বার্সেলোনায় মেসির সাবেক সতীর্থ ভিদাল এমবাপ্পেকে দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবলের কাছ থেকে ফুটবল শিখতে বলেছেন। তিনি লেখেন, লাতিনদের কাছ থেকে ফুটবলটা শেখো, যারা ফুটবলটা আবিষ্কার করেছে।
ভিদাল চিলির হয়ে ১৩৬টি ম্যাচ খেলেছেন। খেলেছেন বায়ার্ন মিউনিখ, বার্সেলোনার মতো ক্লাবে। বর্তমানে খেলছেন ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গোতে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল