ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

যেভাবে বিশ্বকাপে গোল্ডেন বল, বুট ও গ্লাভের প্রচলন হল
অনলাইন ডেস্ক
ফাইল ছবি

আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। এরপরই বিশ্বকাপ উন্মাদনায় মেতে উঠবে পুরো বিশ্ব। মস্কোর লুজনিকিতে রাশিয়া-সৌদির ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে এবারের বিশ্বকাপের মূল পর্ব। ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ খ্যাত এ টুর্নামেন্টটি ১৯৩০ সাল থেকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতি চার বছর পরপর অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এ টুর্নামেন্ট। টুর্নামেন্টে সেরা দল অর্জন করে বিশ্বকাপ এবং প্রতি আসরের সেরা খেলোয়াড়দের সম্মানিত করা হয় বিভিন্ন ব্যক্তিগত পুরস্কারে। ১৯৩০ সাল থেকে বিশ্বকাপ শুরু হলেও ব্যক্তিগত পুরষ্কারের প্রবর্তন হয় ১৯৮২ সালে। ফিফা ১৯৮২ সাল থেকে ‘গোল্ডেন বল’ ও ‘গোল্ডেন বুট’ পুরস্কারের রেওয়াজ চালু করে। সেই ১৯৮২ সালে ইতালির পাওলো রসি থেকে শুরু করে এই প্রজন্মের সেরা খেলোয়াড় লিওনেল মেসি বিশ্বকাপের ব্যক্তিগত পুরস্কার সাজিয়েছেন নিজেদের ট্রফিকেসে। চলুন জেনে নিই সে সম্পর্কে-

১.গোল্ডেন বল : প্রতি বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়কে পুরষ্কৃত করা হয় গোল্ডেন বল পুরষ্কারে। ১৯৮২ সালে প্রথমবার গোল্ডেন বল প্রদান করা হয়।

২.গোল্ডেন বুট : প্রতি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতাকে এই গোল্ডেন বুট পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। গোল্ডেন বলের মত ১৯৮২ সালেই সর্বপ্রথম সর্বোচ্চ গোলদাতাকে এই পুরস্কার দেয়া হয়। যদি একাধিক সংখ্যক খেলোয়াড় সমান গোল করে, তাহলে অন্যকে গোল করতে সহযোগিতা ও খেলার সংখ্যা বিবেচনায় এনে গোল্ডেন বুট প্রদান করা হয়।

৩.গোল্ডেন গ্লাভ : প্রতি বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষককে এই পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়। যদিও এই পুরস্কারের বয়স বেশি না, ১৯৯৪ সালে প্রয়াত লিজেন্ডারি সোভিয়েত গোলকিপার লেভ ইয়াসিনের স্মরণে এই পুরস্কার প্রদানের প্রচলন করা হয়। ফিফা টেকনিক্যাল কমিটি পুরো আসরের গোলকিপারদের পারফরমেন্স বিবেচনা করে এই পুরস্কার দিয়ে থাকে। যদিও টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরষ্কার গোল্ডেন বলের জন্যেও গোলকিপাররা মনোনীত হয়ে থাকেন, যেমন ২০০২ সালে জার্মান গোলরক্ষক অলিভার কান গোল্ডেন বল জিতেছিল। লেভ ইয়াসিন এওয়ার্ডকে পরবর্তীতে ২০১০ সালে গোল্ডেন গ্লাভ নামকরণ করা হলেও লেভ ইয়াসিন এওয়ার্ড হিসেবেই বেশি পরিচিত।

বিডি-প্রতিদিন/ ই-জাহান



এই পাতার আরো খবর