প্রথম ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ড্র। দ্বিতীয় ম্যাচে কোস্টারিকার বিরুদ্ধে ২–০ ব্যবধানে জয়। গতকাল শুক্রবার ইনজুরি টাইমে দেখা গেল সাম্বা ঝড়। প্রথমে ফিলিপ কুতিনহো। পরে নেইমার। কোচ তিতের রক্তচাপ কমালেন এই দুই ফুটবলার।
প্রথম ম্যাচে ড্রয়ের পর চারিদিক থেকে সমালোচনা শুরু হয়েছিল। কোস্টারিকা বধের পর এল স্বস্তি। গোল করার আনন্দে ম্যাচ শেষের বাজি বাজার পরেই কেঁদে ফেলেন নেইমার। সেই সঙ্গে সমালোচকদের দিলেন উপযুক্ত জবাব।
নেইমার জানান, ‘বিশ্বকাপ খেলার জন্য কী পরিশ্রম আমি করেছি তা অনেকেই জানে না। তাই ম্যাচ শেষের পর আনন্দে কেঁদে ফেলেছি। ম্যাচটা জেতার জন্য মরিয়া ছিলাম। চোট পাওয়ার পর জীবনটা আমার মোটেই সহজ ছিল না। যে উদ্দেশ্য নিয়ে বিশ্বকাপে এসেছি, তা এখনও জীবন্ত রয়েছে। দুরন্ত পারফরম্যান্সের জন্য সতীর্থদের অভিনন্দন। এখন নিশ্চয়ই বাকিরা চুপ করবেন।’
ফেব্রুয়ারিতে চোট পাওয়ার পর দেশের হয়ে মাত্র চারটি ম্যাচ খেললেন নেইমার। ব্রাজিল কোচ তিতে বলেছেন, ‘নেইমার এখনও পুরো ম্যাচ ফিট নয়। সেরা ছন্দে আসতে নেইমারের আরও কিছুটা সময় লাগবে। তবে আমাদের দলটা বেশ ভাল। কারও একজনের উপর আমরা নির্ভরশীল নই।’
ব্রাজিলের কিছু সংবাদপত্র আবার লিখেছে, ‘নেইমারের কান্নাটা স্বাভাবিক নয়। টুর্নামেন্টে যত এগুবে আরও কঠিন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে খেলতে হবে। তাই মানসিক দিক থেকে শক্তিশালী হতে হবে। সবে তো দুটো ম্যাচ হল। এখনই ভেঙে পড়লে চলবে না।’
বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর