ঢাকা, রবিবার, ২১ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

বড় দেরিতে জ্বলে উঠলো পেরু
অনলাইন ডেস্ক

লাতিন আমেরিকা থেকে এবছর বিশ্বকাপে জায়গা পায়নি চিলি ও প্যারাগুয়ের মতো বড় নাম। আর বাছাই পর্বে তাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ঠিক রাশিয়া বিশ্বকাপে জায়গা করে নেয় পেরু। যদিও প্রথম দুই ম্যাচ হেরে নকআউট পর্বের আশা সেখানেই শেষ করে ফেলে দলটি। অবশেষে জ্বলে উঠলো পেরু। অস্ট্রেলিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপে জয়ের স্বাদ পেল তারা। এখন হয়তো আফসোস করতে পারে-ইশ! জয়টা দিয়ে যদি বিশ্বকাপ মিশন শুরু করা যেত।

৩৮ বছর পর বিশ্বকাপে খেলতে আসা একটা দলের জন্য অংশগ্রহণই বড় কথা হওয়ার কথা। কিন্তু দক্ষিণ আমেরিকার মানুষের রক্তে মিশে থাকে ফুটবল। তার এক ঝলক আজ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দেখাল পেরুভিয়ানরা। ৪০ বছরে প্রথম বিশ্বকাপ ম্যাচে জয়ের স্বাদ নিয়ে দেশের পথ ধরলেন গেরেরোরা।

গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছে পেরু। এই জয়ে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে দুই দলেরই। গ্রুপ 'সি' থেকে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে ফ্রান্স ও ডেনমার্ক।

অথচ, ম্যাচের শুরুতে আক্রমণে এগিয়ে ছিল সকারুরা। তবে ক্রমেই ডিফেন্স সামলে দৃশ্যপটে হাজির হয় আগের দুই ম্যাচেও দুর্দান্ত খেলা পেরুভিয়ান আক্রমণভাগ। এরই ধারাবাহিকতায় ম্যাচের মাত্র ১৮ মিনিটের পেরুকে এগিয়ে দেন আদ্রে কার্লিনো। ১৯৮২ সালের বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে পোল্যান্ডের বিপক্ষে ৫-১ গোলে হেরে যাওয়া ম্যাচে গুইয়েরমো লা রোসার পর বিশ্বকাপে পেরুর হয়ে গোলের দেখা পান কার্লিনো।

গোল খেয়ে আক্রমণের ধার বাড়ায় অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু প্রথমার্ধে আর কোন গোল হয়নি। বরং দ্বিতীয়ার্ধের ১০ মিনিট পার হতেই আবারও গোলের দেখা পায় পেরু। এবার গোলদাতা দলটির অধিনায়ক পাওলো গেরেরো। বাম দিক থেকে আক্রমণ সাজিয়ে কাট ব্যাক করে সকারু মিডফিল্ডার মিলে জেদিনাককে বোকা বানিয়ে অস্ট্রেলিয়ার জালে বল পাঠান পেরুভিয়ান অধিনায়ক। সকারু ডিফেন্ডার রায়ানের চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া কিছু করার ছিল না। পরবর্তীদের দু'দল আক্রমণ করলেও আর গোলের দেখা পায়নি। ফলে বল পাসিংয়ে অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে থেকেও তাই হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে সকারুদের।

বিডি-প্রতিদিন/২৬ জুন, ২০১৮/মাহবুব



এই পাতার আরো খবর