রাশিয়া বিশ্বকাপ শুরুর আগে বেলজিয়ামকে ঘিরে কেউ স্বপ্ন দেখেননি। চ্যাম্পিয়নের অন্যতম দাবিদার হিসেবেও গন্য করেনি। জার্মানি, আর্জেন্টিনা, পর্তুগালের মতো দল বিদায় নেওয়ায় এবারের বিশ্বকাপে কালো ঘোড়া হিসেবে রবার্তো মার্টিনেজের দলের নামই উঠে আসছে।
বেলজিয়ামের নাম উঠে আসা অস্বাভাবিক নয়। দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন ইডেন হ্যাজার্ড, রোমেলু লুকাকুরা। গ্রুপ লিগে দুর্দান্ত খেলে তিনটি ম্যাচেই জয়। গ্রুপ শীর্ষে থেকে নক আউটে। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে সামনে এবার জাপান। অপেক্ষাকৃত সহজ প্রতিপক্ষ হলেও যথেষ্ট সতর্ক বেলজিয়াম শিবির। আত্মতুষ্টি যেন গ্রাস না করে, সে ব্যাপারে সতীর্থদের সতর্ক করে দিয়েছেন ড্রায়েস মার্টেন্স।
আসলে পচা শামুকে পা কাটার অতীত অভিজ্ঞতা রয়েছে বেলজিয়াম দলের। দুই বছর আগে ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে অঘটন ঘটেছিল। ফেবারিট হওয়া সত্ত্বেও সেই ম্যাচে ১–৩ ব্যবধানে হারতে হয়েছিল দুর্বল ওয়েলসের কাছে। সেই কথা মাথায় রয়েছে মার্টেন্সের।
জাপানের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে তিনি বলেছেন, ‘ওয়েলস ম্যাচের কথা মনে পড়ছে। সবাই ভেবেছিল আমরা সেমিফাইনালে পৌঁছে যাব। কিন্তু ওয়েলেসের কাছে হেরে আমাদের বিদায় নিতে হয়েছিল। আমরা জাপানকে ছোট করে দেখছি না। কারণ ওরা যথেষ্ট শক্তিশালী দল।’
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশের ৯ জন ফুটবলারকে বসিয়ে রেখেছিলেন মার্টিনেজ। তা সত্ত্বেও জয় আটকায়নি। এটাই আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে বেলজিয়াম শিবিরকে। তবে জাপানের বিরুদ্ধে ৯ জনকেই ফেরাচ্ছেন মার্টিনেজ।
এদিকে, জাপানও বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে ইতিহাস তৈরি করতে মরিয়া। এর আগে দুইবার প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে জাপানের, ২০০২ ও ২০১০ সালে। জাপান অধিনায়ক মাকতো হাসেবে বলেছেন, ‘ইতিহাস তৈরির জন্য আমরা সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ব।’ কোচ আকিরা নিশিনোও স্বপ্ন দেখছেন অঘটন ঘটিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার।
বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর