ঢাকা, শনিবার, ২০ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

ফাইনালে হেরে 'ট্র্যাজিক হিরো' ক্রোটরা
অনলাইন ডেস্ক
সংগৃহীত ছবি

মস্কোর লুজনিকিতে ইতিহাস গড়া হলো না ক্রোটদের। ট্রাজিক নায়ক হয়েই বিশ্বকাপ মিশন শেষ হল মদ্রিচ-রাকিটিচদের। আর দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বসেরার খেতাব জিতলো ফ্রান্স।

ফাইনাল ম্যাচের শুরুতে মানদুজুকিচের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। কিন্তু ২৮মিনিটে পিছিয়ে থেকে পেরিসিচের দুরন্ত গোলে ম্যাচ ফিরেছিল মদ্রিচরা। দ্বিতীয়ার্ধেও ১-৪ পিছিয়ে থেকে ৬৯ মিনিটে ফ্রান্স গোলরক্ষক লরিসের ভুলের সুযোগ নিয়ে ব্যবধান কমিয়ে ২-৪ করেন মানজুকিচ। শেষ রক্ষা অবশ্য হল না। ক্রোয়েশিয়ার স্বপ্নের দৌড় শেষ হল ফাইনালে। রানার্সআপ হয়েই মাঠ ছাড়ল মদ্রিচ অ্যান্ড কোং। ৬ গোলের থ্রিলার জিতে দ্বিতীয় বারের জন্য বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। শেষবার ১৯৯৮ সালে দেশের মাটিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ফ্রান্স। এবার কোচের হটসিটে বসে ফ্রান্সকে চ্যাম্পিয়ন করলেন দেশঁম। ২০১৬-র ইউরো হারের জ্বালা জুড়ালেন সুপার কোচ।

দ্বিতীয়ার্ধে ৬ মিনিটের একটি সার্জিক্যাল স্ট্রাইকেই ভিদা-সুভাসিচের ক্রোয়েশিয়াকে ঝাঁঝরা করে দেয় ফ্রান্স। ৫৯ মিনিটে গোল পগবার। এরপর ৬৫ মিনিটে গোল তরুণ স্ট্রাইকার এমবাপের।

ক্রোয়েশিয়ার আত্মঘাতী গোল, পেরিসিচের দুরন্ত কামব্যাক আর গ্রিজমানের পেনাল্টি! লুজিনিকি প্রধমার্ধে নাটকের ছড়াছড়ি। অ্যাড্রিনালিন ক্ষরণ বাড়িয়ে দিল এক একটা মুহূর্ত। বাদ পড়ল না ভিআরও। ৩৮ মিনিটে ফ্রান্সের দ্বিতীয় গোলটিতে ভিআরের হাত!

দ্বিতীয়ার্ধে এরপর রোলার কোস্টার রাইড! প্রথমার্ধের চেয়ে উত্তেজনার পারদ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিল দুই ফাইনালিস্ট। পগবা-এমবাপের গোল যেমন আছে। ঠিক তেমনই সুপার কিপার লরিসের ভুলও ইতিহাসের পাতায় লেখা হয়ে গেল। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে ক্রোয়েশিয়ার মানজুকিচকে দিয়ে গোল করিয়ে দেন লরিস।

বল পজিশনে ক্রোয়েশিয়ার চেয়ে পিছিয়ে থাকলেও শেষ পর্যন্ত ৪-২ গোলে ফাইনাল জিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। ৯০ মিনিট ধরে দুরন্ত লড়াই করেও ট্র্যাজিক নায়ক হয়ে থেকে গেল ক্রোটরা। ফাইনালে খলনায়ক বনে গেলেন সেমিফাইনালের নায়ক মানজুকিচ। তাঁর আত্মঘাতী গোল নির্ণায়ক হয়ে দাঁড়াল।

বিডি-প্রতিদিন/ ই-জাহান



এই পাতার আরো খবর