৫ অক্টোবর, ২০২৪ ০৩:২৪

‘এইবার চিন্তা করছি ছাগল কিনমু’

অনলাইন ডেস্ক

‘এইবার চিন্তা করছি ছাগল কিনমু’

সমলা

লাঠিতে ভর করে বেশ কষ্টেই ঋণের টাকার খামটা নিলেন ষাটোর্ধ্ব এক নারী। মঞ্চ থেকে নামতে বেশ বেগ পোহাতে হচ্ছে তাঁকে। দেখে এগিয়ে গিয়ে ধরলাম। হাতে ধরে মঞ্চের সামনের সোফায় বসালাম। কৌতূহলী মনে নানা প্রশ্ন জাগছিল। এই বয়সে কেন ঋণ নিতে এসেছেন জানতে চাইলাম। জানালেন, তাঁর নাম সমলা। বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রাধানগর গ্রামে বাড়ি।

স্বামী মারা গেছেন অনেক আগেই। দুই মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। এক ছেলে আছে সংসারে। তাকেও বিয়ে করিয়েছেন কয়েক বছর হয়। ছেলে দিনমজুরের কাজ করে। পায়ে ব্যথা পেয়েছেন সমলা। এখন লাঠি ছাড়া হাঁটতে পারেন না। অভাবের সংসার। অভাবের তাড়নায় মাঝেমধ্যে তাঁদের অর্ধাহারেও দিন পার করতে হয়েছে।

বৃদ্ধা মাকে টানতে ছেলের কষ্ট হয় দেখে নিজে কিছু একটা করার তাগিদ অনুভব করেন। পরিবারে সচ্ছলতা আনতে ছেলের পাশাপাশি নিজেও উপার্জন করতে উদ্যোগী হন সমলা। এবার এখানে এসেছেন দ্বিতীয়বারের মতো সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত ঋণ নিতে। প্রথমবার বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন থেকে ঋণ নিয়ে হাঁস ও মুরগি পালন করে লাভবান হয়েছেন। সংসার খরচে অবদান রাখার পাশাপাশি ঋণের টাকা পরিশোধ করেছেন। 

দ্বিতীয় ধাপে ঋণ নিয়ে কী করবেন জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘এইবার চিন্তা করছি ছাগল কিনমু। ছাগলে ভালা লাভ অয়। ছয় মাসে বাচ্চা দেয়। সংসারে কিছু টাকা দিতে পারলে ছেলে আর বউ দুইজনেই খুশি অয়। যত্ন-আত্তি করে বেশি। তাই কষ্ট কইরা অইলেও কাম করি। হাঁস-মুরগি পালি। এইবার ছাগল পালমু।’


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর