‘নিজের পায়ে দাঁড়াতে গেলে কোনো না কোনো সহযোগিতা লাগেই, যার বাস্তব প্রমাণ আমি। স্বামীর কোনো শিক্ষাদীক্ষা নেই। তেমন কোনো কাজও জানেন না। অসহায় ও অতিদরিদ্র লোকদের সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত ঋণ দিয়ে সাহায্য করে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন, জানতে পেরে সেখানে যোগাযোগ করে ঋণ গ্রহণ করি। আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে আরো কিছু টাকা ধার নিয়ে স্বামীকে একটি ভ্যানগাড়ি কিনে দিই। বড় ছেলেটিও বাবার কাজে সাহায্য করতে শুরু করে।
জায়গা-সম্পত্তি বলতে শুধু ১.৫ শতকের বসতভিটা। আর কিছুই নেই। বাবা-ছেলের নিরলস চেষ্টায় কিছু অর্থ জমা হয়। বড় ছেলেটিকে বিদেশে পাঠিয়ে দিই। বিদেশে যাওয়ার পর বড় ছেলে তার ছোট ভাইকেও নিয়ে যায়। দেশে অর্থ রোজগার করেন তাদের বাবা। আর বিদেশে দুই ভাই। প্রতি মাসে ভালো টাকাই বিদেশ থেকে আসে। বর্তমানে ৫০ শতকের ওপরে জমি, পাকা ভবনসহ একটি বাড়ি ও পর্যাপ্ত আসবাব রয়েছে। অর্থনৈতিকভাবে আমরা এখন সম্পূর্ণ স্বাবলম্বী।’
প্রচণ্ড রকমের আত্মবিশ্বাস আর বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে কথাগুলো বলছিলেন আইয়ুবপুর গ্রামের ভ্যানচালক খুরশিদ মিয়ার স্ত্রী শিল্পী আক্তার। শিল্পী আক্তার মনে করেন, তাঁদের আজকের এই অবস্থানে আসার পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত ঋণ। শিল্পী বলেন, ‘তারাই আমার পরিবারে স্বাবলম্বী হওয়ার একটি বীজ বপন করে দিয়েছিল। এখন আমরা পুরোপুরি স্বাবলম্বী। বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকদের জন্য দোয়া করি, তাঁরা যেন ভালো থাকেন। আমি কখনো বসুন্ধরার অবদান ভুলতে পারব না।’
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ