২০ ডিসেম্বর, ২০২০ ২১:২৭
গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে ‘এসটিআই ৪.০’ আন্তর্জাতিক সম্মেলন

শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে হবে

অনলাইন ডেস্ক

শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে হবে

শিক্ষক-গবেষক ও প্র্যাকটিশনারদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কৌশল নির্ধারণের লক্ষ্য নিয়ে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে দুই দিনব্যাপী ‘সাসটেইনেবল টেকনোলজিস ফর ইন্ডাস্ট্রি ৪.০’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন রবিবার শেষ হয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ আয়োজিত এ সম্মেলনে বাংলাদেশ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইন্ডিয়া, জার্মানীসহ বিশ্বের ২৯টি দেশ থেকে কয়েক শতাধিক শিক্ষক-গবেষক অংশ নেন। সম্মেলনে মোট ৩টি প্রবন্ধকে ‘বেস্ট পেপার’ হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।

সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সামদানী ফকিরের সভাপতিত্বে বিইউবিটি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফৈয়াজ খান, ইউএস-বাংলার সিইও লে. জেনারেল মইনুল ইসলাম, গ্রিন ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুর রাজ্জাক বক্তব্য রাখেন।

সম্মেলনে বক্তারা বলেন, টেকসই উন্নয়নের চাবিকাঠি হচ্ছে হলো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি। এই দুই অনুষঙ্গকে যত বেশি কাজে লাগানো যাবে, ততই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সহজ হবে। এ ব্যাপারে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারিভাবেও অনেককে এগিয়ে আসতে হবে। এসময় তিনি শিল্প বিপ্লবে বিভিন্ন পর্যায় নিয়ে আলোচনা করেন।

গ্রিন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির বলেন, করোনাকালীন বিশ্বের যেসব খাত সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে, তার অন্যতম হলো শিক্ষা। যদিও লকডাউনের শুরু থেকেই অনলাইন শিক্ষার সব সেবা নিশ্চিত করে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি। 

সম্মেলনের জেনারেল চেয়ার ও গ্রিন ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, এসটিআই-২০২০ সম্মেলনের উদ্দেশ্য হলো- গবেষক ও অভিজ্ঞতাবাদীদের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করা; যা কাজে লাগিয়ে টেকসই প্রযুক্তি ৪.০ উন্নয়নে আরো এগিয়ে যেতে হবে। যেহেতু আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশে জোর দিয়েছি, তাই এটাকে সামনে রেখে প্রযুক্তিগত দক্ষতা বাড়ালেই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সহজ হবে।

সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন জার্মানির ফ্রনোফার’র থ্রোস্টন হেনকেল, ইউনিভার্সিটি কেবাংসান মালয়েশিয়ার প্রফেসর এম তরিকুল ইসলাম, জার্মানী হাইডেলবার্গের ইউরোপিয়ান মলিকিউলার বায়োলজি ল্যাবরেটরি (ইএমবিএল)’র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এম জুলিয়াস হোসেন, গুগলের আইইইই (এল-৭) ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজার মনিরুল ইসলাম শরিফ, অস্ট্রোলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব ওলংগং থেকে মনিরুল ইসলাম, ব্রাক ইউনিভার্সিটির মনজুর আহমেদ এবং রবি আজিয়াটা লিমিটেডের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ড. আসিফ নাইমুর রহমান প্রবন্ধ পাঠ করেন।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর