‘রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন’-বাংলা প্রবাদ বাক্যে এই লাইনটি বোধহয় রচিত হয়েছিল আইন পেশাকে ঘিরেই। সমাজের অন্য আট-দশটা সেবামূলক পেশার চেয়ে এই পেশাকে আলাদা বলা হয় কেন? প্রশ্নটা করলেই হয়তো সবাই বলবেন একগাদা ধারা মনে রাখার কথা। কিন্তু আসলে কি তাই?
আইন পেশায় আছে মানসিক প্রস্তুতি। গবেষণায় অহর্নিশ ডুবে থাকার অবারিত সুযোগ। আর সত্য উদঘাটনের মাধ্যমে নতুন কিছু ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি মানুষের ভালোবাসা তো রয়েছেই!
চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে (সিআইইউর) আইন পেশার নানান দিক নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো ক্যারিয়ারবিষয়ক জমজমাট ওয়েবিনার। অনুষ্ঠানের শিরোনাম ছিল ‘অ্যাডভোকেসি: ক্যারিয়ার প্রসপেক্টস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস’।সম্প্রতি সিআইইউর স্কুল অব ল এবং ক্যারিয়ার প্ল্যানিং অ্যান্ড প্লেসম্যান্ট কাউন্সিলিং অফিস যৌথভাবে অনলাইনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে আলোচকের বক্তব্যে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মো. জাহিদুল বারী বলেন, এ পেশায় শেখার কোনো শেষ নেই। সমস্যার সমাধানে বিজ্ঞ আইনজীবীদের ভূমিকা এদেশে সবসময় শ্রদ্ধার চোখে দেখবে প্রতিটি নাগরিক।
সুপ্রিমকোর্টের আরেক আইনজীবী শেখ ইফতেখার শিমুল চৌধুরী বলেন, শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের অনেক বেশি জানতে হবে। আদালতের কেস স্টাডিগুলো থেকে তাদের পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার অভিজ্ঞতা রপ্ত করা চাই।
সিআইইউর স্কুল অব ল’র উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের সাবেক সদস্য অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন বলেন, আইন পেশায় গবেষণায় ডুবে থাকার কোনো বিকল্প নেই। কঠিন পরিশ্রম, একাগ্রতা আর পেশাজীবনের মেধা-তাকে এনে দিবে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ।
অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তব্যে সিআইইউর উপাচার্য ড. মাহফুজুল হক চৌধুরী বলেন, পাঠ্যবইয়ের পড়া যে কাউকে ভালো আইনজীবী হয়ে গড়ে তোলে না। আমাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া নানান অভিজ্ঞতা, ব্যবহারিক জ্ঞান এই পেশাকে ভিন্নভাবে সমৃদ্ধ করেছে।
সিআইইউর স্কুল অব ল’র প্রভাষক মো. হাসনাত কবির ফাহিমের প্রাণবন্ত সঞ্চালনে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ক্যারিয়ার প্ল্যানিং অ্যান্ড প্লেসম্যান্ট কাউন্সিলিং অফিসের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক সরকার কামরুল মামুন।
সভাপতির বক্তব্যে সহকারী ডিন মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন সম্মান এবং সুনিশ্চিত ভবিষ্যতের জন্য বর্তমান সময়ে আইন পেশার প্রতি সবার আগ্রহ বাড়ছে বলে মন্তব্য করেন।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ