২৯ জানুয়ারি, ২০২২ ০৮:২১

স্মরণসভায় হাবীবের মৃত্যুর তদন্ত চাইলেন প্রিয়জনরা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

স্মরণসভায় হাবীবের মৃত্যুর তদন্ত চাইলেন প্রিয়জনরা

কিছুদিন আগেই চলে যাওয়া সাংবাদিক হাবিবুর রহমানের মৃত্যুর ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তার বন্ধু-শিক্ষক-সহযোদ্ধারা। শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে এক স্মরণসভায় এই দাবি ওঠে। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে হাবীবের বন্ধুদের আয়োজনে এই স্মরণসভা হয়। এতে তার বিভাগ-হল-বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু-শিক্ষক-সাংবাদিকতার সহকর্মী, রাজনৈতিক সহযোদ্ধাদের পাশাপাশি পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন।

হাবীবের বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের রুমমেট শিক্ষা কর্মকর্তা শাহিন ইসলাম বলেন, হাবীব এত সহজে মানুষের কাছে যেতে পারতো, সেটা অনেকেই পারতো না। এক রুমে দীর্ঘদিন ছিলাম। কখনোই কোন মান অভিমান হয়নি। হাবীবের কেবল মুখে আঘাত। আসলেই কি এটা দুর্ঘটনা? এটা যদি দুর্ঘটনা হয়, আমাদের কোন কিছু বলার নেই। কিন্তু যদি হত্যাকাণ্ড হয়, তাহলে সেটার উদঘাটন হওয়া জরুরি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসাইন প্রিন্স বলেন, হাবীব ভাইয়ের মৃত্যু যদি কোন নাশকতা হয়, তাহলে সেই নাশকতাকারী যত শক্তিশালীই হোক, সেটাকে উপড়ে ফেলতে হবে। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক কাবেরী গায়েন বলেন, হাবীব কেন, আমার কোন শিক্ষার্থীর স্মরণসভায় আসতে হবে, সেটা আমি ভাবিনি। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর চাইতেও শিক্ষক-শিক্ষার্থীর বন্ধুত্বের সম্পর্কে আমরা বেড়ে উঠেছি। ওদের সাথে অনেক কাজ করেছি। তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার মৃত্যু হলেও সেটা কিন্তু স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। 

বিভাগের বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল মনসুর আহমেদ বলেন, আমি হাবীবকে ক্লাস রুমে পেয়েছি। ও বরাবরই বিনয়ী ছিল। তার হাসিমাখা মুখ সবাইকে মুগ্ধ করতো। বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষক হিসেবে হাবীবকে অন্য শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে দেখেছি। 

হাবীবের বাবা মো. পেয়ারা বলেন, আমি বাবা হয়ে ছেলের লাশ কাঁধে নিয়েছি। যে এটা নিয়েছে, তার মত দুঃখী আর কেউ নাই। আমি বড়ই আশা করে ছেলেকে লালন পালন করেছিলাম। কিন্তু আমার সব শেষ হয়ে গেল। 

হাবীবের স্ত্রী হাসি আক্তার রিমি বলেন, আমি বিশ্বাস করতে পারছি না, ওর সাদাকালো ছবি এভাবে থাকবে, আর আমি ওর জন্য কথা বলবো। আমার সব ছিল হাবীব। আমার সংসার, আমার ভালোবাসা। আর হাবীবের সব ছিলেন আপনারা। এটাই ওর ভালোবাসা ছিল। ও যা ভালোবাসতো, আমিও তা ভালোবাসতাম। আমি কাজের জন্য বিরক্ত হই নাই। ওর জন্য স্পেস করে দিতাম। আমি চাই, কারো সঙ্গেই এটা না ঘটুক।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মেহেদি হাসান প্রমুখ। 


বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর