১৪ জুন, ২০২২ ১৯:২০

কৃষির কথা যখন বলছিই, গবেষণায় বরাদ্দ কম কেন : শেকৃবি উপাচার্য

শেকৃবি প্রতিনিধি

কৃষির কথা যখন বলছিই, গবেষণায় বরাদ্দ কম কেন : শেকৃবি উপাচার্য

আমরা ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হতে যাচ্ছি, আমরা তো তখন সার পাবো না। কারণ সারে ভর্তুকি দিই, উন্নত দেশগুলো তখন তা দিতে দেবে না। আজকে তারাই আমাদের হাইব্রিড বীজ দিচ্ছে, আমরা উৎপাদন করছি, শতভাগ ফলন পাচ্ছি, খুব খুশি। আমার দেশে হাইব্রিড বীজের কোন গবেষণাই হচ্ছে না, তখন কি হবে? দেশকে এগিয়ে নিতে সবার কৃষি নিয়ে যখন এত বক্তৃতা, কৃষির কথা যখন বলছিই গবেষণায় বরাদ্দ এতো কম কেন? সবচেয়ে কম টাকায় উন্নতমানের গবেষণা, এটা হয়না। 

মঙ্গলবার শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) রিসার্চ সিস্টেম আয়োজিত ১ম বার্ষিক রিসার্চ রিভিউ ওয়ার্কশপ শীর্ষক অনুষ্ঠানে সভাপতির ভাষণে এসব কথা বলেন শেকৃবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ২ দিনব্যাপী এ গবেষণা কর্মশালা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার ও শেকৃবি ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন। 

এ সময় উপাচার্য ড. ভূঁইয়া আরও বলেন, ‘দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কী ধরণের পিএইচডি চাই আমরা- শুধু গবেষণা করে, শুধু পড়াশোনা করে, শুধু পড়াশোনা ও গবেষণা করে নাকি কিছুই না করে, সবরকমের পিএইচডি বাংলাদেশে আছে। বাস্তবে আমার দেশে কোন ধরণের পিএইচডি হওয়া দরকার তার কোনো নীতিমালাই নেই। একেক বিশ্ববিদ্যালয় একেক ধরণের পিএইচডি করে, মানের ধার ধারে না, কেউ দেখছেও না পিএইচডিতে কী হচ্ছে। এটা যদি পিএইচডিতে হয়, অন্য জায়গায় কী হচ্ছে? পনেরশ টাকা দিয়ে যেই দেশে ব্যবহারিক পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ পাওয়া যায়, আজকের এই তরুণরা আগামীর উন্নত বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করবে কিভাবে?’ 

ইউজিসি চেয়ারম্যানকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে উপাচার্য বলেন, ‘আমার সময়ে মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে পড়তে আসতো। এখন আমরা মালয়েশিয়া যাচ্ছি গবেষণা করতে, পিএইচডি করতে। তারা কোথায় কী পরিবর্তন আনলো যাতে তাদের শিক্ষা, গবেষণায় আমূল পরিবর্ত এলো। এরকম কাউকে মডেল মেনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পরিবর্তন আনা যায় কিনা, দেখবেন। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. দিল আফরোজা বলেন, ‘একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক যদি শুধুমাত্র স্কুলের শিক্ষকদের মতো পড়াশোনা করান, কোনো গবেষণাই না করেন তাহলে এদেশ থেকে আন্তর্জাতিক মানের রিসোর্সপারসন সম্ভব না।’ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের গুণগত মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার বরাবর সেন্ট্রাল রিসার্চ কাউন্সিল, সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরি ও ট্রেনিং অ্যাকাডেমি গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানান ইউজিসি চেয়ারম্যান।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর