১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ২১:১৩

ভালোবাসায় ছড়ায় বসন্তের রং

নাসিমুল হুদা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

ভালোবাসায় ছড়ায় বসন্তের রং

নৃত্য পরিবেশন

নীল দিগন্তে লেগেছে রংয়ের আগুন, বাতাসে মৌ মৌ ফুলের গন্ধ আর আমের নতুন মুকুল বসন্তের আগমনী বার্তা ঘোষণা করছে। ঋতুরাজের আবির্ভাবে শুধু প্রকৃতি সাজেনি, দোলা দিয়েছে মানবমনেও। তাইতো ভালোবাসার রংয়ে বসন্তবরণে ছিলো না এতটুকু কমতি।

মঙ্গলবার ফাগুনের প্রথম দিনে আনন্দে নেচে উঠেছিলো কর্মব্যস্ত নাগরিক জীবন। বাংলা একাডেমির পঞ্জিকা সংশোধনের কারণে একই দিনে ভালোবাসা দিবস হওয়ায় বসন্ত উৎসবের রংধনুতে যোগ হয় নতুন রং। প্রেমিক-প্রেমিকা থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষের আগমনে মুখর ছিলো সংস্কৃতি চর্চার রাজধানী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। নারীদের পরনে বাসন্তী রংয়ের শাড়ি বা মাথায় ফুলের রিং, ছেলেদের পরনে পাঞ্জাবি; সমাগত তরুণ-তরুণী প্রিয় মানুষদের হাত ধরে ঘুরে বেড়িয়েছেন এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত।

এদিকে ঋতুরাজ বসন্তের আগমনী বার্তা সবার কাছে পৌঁছে দিতে জাতীয় বসন্ত উৎসব উদ্যাপন পরিষদের আয়োজনে চারুকলার বকুলতলায় সকাল থেকে শুরু হয় ‘বসন্ত বরণ’ আয়োজন। উদ্বোধন ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এসময় জাতীয় বসন্ত উৎসব উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি স্থপতি সফিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরিষদের সহ-সভাপতি কাজল দেবনাথ এবং সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট। সকাল সাতটা থেকে সমবেত বাদ্যযন্ত্র ও রাগাশ্রয়ী সংগীতের মূর্ছনায় শুরু হয় এ উৎসব। চলে সকাল ৯টা পর্যন্ত। বিকেলে চারুকলায় অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় ঢাবি উপাচার্য সকলকে বসন্তের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘রং, উৎসব, আমেজ ও নানা ধরনের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা আবহমান বাংলার চিরচেনা বৈশিষ্ট্য। এসব উৎসব অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক সমাজের বার্তা দেয় এবং মানুষের মধ্যে বিরাজমান বন্ধুত্বপূর্ণ ও সম্প্রীতির বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করে।’

উৎসবে হঠাৎ-ই দর্শক সারিতে হাজির হয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিও। আয়োজকদের অনুরোধে দর্শকদের শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি তিনি। অন্যদিকে, আয়োজকদের কণ্ঠে ছিলো বসন্তবরণের মধ্য দিয়ে প্রকৃতির আসবার ও প্রকৃতি-সুরক্ষার তাগিদ।

বসন্ত বরণ উৎসবে আবৃত্তিশিল্পী আহসান উল্লাহ তমাল ও নুসরাত ইয়াসমিন রুম্পার সঞ্চালনায় একক আবৃত্তি পাঠ করেন ভাস্বর বন্দোপাধ্যায় ও নায়লা তারাননুম চৌধুরী কাকলি। সংগীত পরিবেশন করেন ফাহিম হোসেন চৌধুরী, সালমা আকবর, লাইসা আহমেদ লিসা, প্রিয়াংকা গোপ, বিমান চন্দ্র বিশ্বাস ও সুচি দেবনাথ। দলীয় সংগীত পরিবেশন করে গীতাঞ্জলি, সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী, বহ্নিশিখা ও বুলবুল একাডেমি অব ফাইন আর্টস (ওয়াইজঘাট)। দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে সুরঙ্গমা, ধৃতি, স্বপ্ন বিকাশ কলা কেন্দ্র, নৃত্যম, ভাবনা, গৌড়ীয় নৃত্য সারথী, নৃত্যনন্দন, সাধনা সংস্কৃতি মন্ডল, স্পন্দন। এছাড়াও ছিল চাকমাদের দলীয় নৃত্য পরিবেশনা। এছাড়াও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বটতলা ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ প্রাঙ্গনে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর