১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ২০:৫৮

জাবির সমাবর্তনে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

জাবির সমাবর্তনে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ

ফাইল ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ সমাবর্তন আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু সমাবর্তনে অংশগ্রহণের জন্য অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেছেন পূর্বে মূল সার্টিফিকেট উত্তোলনকারী শিক্ষার্থীরা। আবার অনেক শিক্ষার্থী টাকা জমা দিলেও সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তাদের মধ্যে অনেক শিক্ষার্থী সমাবর্তনে অংশগ্রহণের জন্য বিদেশ থেকে এসেছেন। এমন পরিস্থিতিতে এর কোনো সমাধান দিতে পারেননি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করার সুযোগ পায় শিক্ষার্থীরা। এতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের জন্য ২ হাজার ৫০০ টাকা করে এবং একসাথে উভয়ের জন্য ৪ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এদিকে, পূর্বে টাকা দিয়ে মূল সার্টিফিকেট উত্তোলনকারী শিক্ষার্থীরা সমাবর্তনে শর্তসাপেক্ষে অংশগ্রহণ করতে পারবেন বলে এক বিজ্ঞপ্তি দেয় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস।

এতে বলা হয়, এই সমাবর্তনের আওতায় যে সকল শিক্ষার্থী জরুরি প্রয়োজনে সমাবর্তনের পূর্বে উপাচার্যের অনুমতিক্রমে মূল সার্টিফিকেট উত্তোলন করেছেন তারাও সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। তবে তাদেরকে মূল সার্টিফিকেট ফেরত বা জমা দিতে হবে অথবা গাউনের মূল্যের সমপরিমাণ ৩ হাজার টাকা (ফেরতযোগ্য) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের চলতি নম্বর এ জামানত হিসেবে জমা দিয়ে জমার রশিদ সংরক্ষণ বা প্রদর্শন করতে হবে। 

কিন্তু মূল সার্টিফিকেট উত্তোলন করা অনেক শিক্ষার্থী জানান, তারা রেজিস্ট্রেশন করার সময় টাকা পরিশোধের বিষয়ে জানাতে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসে যোগাযোগ করেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ জানায়, শিক্ষার্থীদেরকে সমাবর্তনের রেজিস্ট্রেশন ফি'র পাশাপাশি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের ব্যাংক একাউন্টে ৩ হাজার টাকা জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে তারা অনেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা করে পূর্বে দিলেও পুনরায় তাদেরকে রেজিষ্ট্রেশন ফি ও গাউন বাবদ ফি দিতে হবে। এতে প্রশাসনের সমন্বয়হীনতার ফলে তাদেরকে অতিরিক্ত টাকা দিতে হচ্ছে বলে জানান একাধিক গ্রাজুয়েটরা।

আবার অনেক শিক্ষার্থী শুধু পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের একাউন্টে টাকা জমা দিলেও সমাবর্তনের রেজিস্ট্রেশন করেননি এবং ফিও জমা দেননি। ফলে তারা সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের রেজিস্ট্রেশন কমিটি। এতে সমাবর্তনে অংশগ্রহণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

তারা জানান, যদি টাকা দিয়েও সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করতে হয় তাহলে সে ব্যবস্থাও করে দিন আমাদের। কিন্তু এই মুহূর্তে সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করতে পারব না ভেবেই দুঃখ লাগছে। অনেক আগ্রহ নিয়ে দেশে এসেছি বন্ধুদের সাথে সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করব।

তবে এ বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. সালাউদ্দিন বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে দ্রুতই জানাতে পারব।

এ বিষয়ে সমাবর্তনের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য অধ্যাপক এম শামীম কায়সার বলেন, আমরা বিষয়টি জেনেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের সাথে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের সমন্বয় করে আমরা এর সমাধান করব। আশা করি যারা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের ব্যাংক একাউন্টে টাকা জমা দিয়েছে তারা সবাই সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করতে পারবে। 


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর