১২ এপ্রিল, ২০২৩ ২০:২৩

চারুকলায় চলছে শোভাযাত্রার শেষ সময়ের প্রস্তুতি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

চারুকলায় চলছে শোভাযাত্রার শেষ সময়ের প্রস্তুতি

সংগৃহীত ছবি

বিশ্ব ঐতিহ্যে পরিণত হওয়া মঙ্গল শোভাযাত্রার শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি চলছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায়। বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে প্রতিবছরের ন্যায় চলতি বছরও চারুকলা প্রাঙ্গন থেকে বের হবে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। এবছরের মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য ‘বরিষ ধারা মাঝে শান্তির বাণী’।

বুধবার (১২ এপ্রিল) চারুকলা প্রাঙ্গন সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বাঁশ ও কাঠের সাহায্যে শোভাযাত্রার প্রধান প্রধান মোটিফগুলো তৈরিতে কাজ করছেন শিল্পীরা। এবছর হাতি, মা ও শিশু, ভেড়া, বাঘ, ময়ুর, নীল গাইয়ের প্রতিকৃতি করা হবে। ইতোমধ্যে সবগুলোর প্রাথমিক অবকাঠামো তৈরি হয়েছে। এখন চলছে এগুলোর উপর রঙ্গিন কাগজের প্রলেপ ও নকশা করার কাজ। 

অনুষদসূত্রে জানা যায়, প্রতিবছর চারুকলার অনুষদের শিক্ষার্থীদের একটি ব্যাচ শোভাযাত্রার প্রস্তুতির দায়িত্বে থাকে। এবছর স্নাতক  ২৪ তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা দায়িত্ব আছেন। চারুকলার আয়োজক ব্যাচের শিক্ষার্থী সংগ্রামী মোহন উচ্ছ্বাস জানান, প্রতিবছর শোভাযাত্রায় বাঙালি সংস্কৃতিকে তুলে ধরার প্রত্যয় থাকে। এবছরও সেরকমই চেষ্টা আছে। প্রত্যেকটি মোটিফের মধ্য দিয়ে এক ধরনের বার্তা দেওয়ার চেষ্টা আছে বলেও জানান তিনি। 

তিনি আরও বলেন, নীলগাইয়ের মোটিফটি এবারের নতুন সংযোজন। কেননা, এ প্রাণীটি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। আমরা এ মোটিফটির মাধ্যমে সচেতনতা তৈরি করতে চাই। তেমননিভাবে, মা ও শিশুর মোটিভের মাধ্যমে পৃথিবীকে বাঁচানোর তাগাদা দিতে চাই আমরা। 

এছাড়া চারুকলার শিক্ষার্থীরা জলরং-অ্যাক্রেলিক চিত্র, সরাচিত্র ও মুখোশের পাশাপাশি নানা হস্তশিল্প তৈরি করছেন। ২০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশের মঙ্গল শোভাযাত্রা ইউনেসকোর ‘অস্পর্শনীয় শিল্পের’ তালিকাভুক্ত হয়। সরকারের পক্ষ থেকে এ আয়োজনে সম্পৃক্ততা থাকলেও চারুকলার শিক্ষার্থীরা চান নিজেদের মতো শিল্পকর্ম তৈরি করে সেসব বিক্রির মাধ্যমে আয়োজন করতে।

মঙ্গল শোভাযাত্রাকে সামনে রেখে নানান মহলে গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে নানান বিতর্ক চলে। এমনকি শোভাযাত্রার বিরোধিতাও করেন অনেকে। এমনকি ‘চিরকুট ফেলে হুমকি’ও দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে এবার। তবে এসব বিরোধিতাকে ‘অনুপ্রেরণা’ হিসেবেই মনে করেন চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নেসার আহমেদ। 

তিনি বলেন, বহু আগে থেকেই এ ধরনের বিতর্ক চলে আসছে।নানাভাবে শিল্প সাহিত্যের চর্চাকে নস্যাৎ করার চেষ্টাও করা হয়েছে। কিন্তু তা করা সম্ভব হয়নি। এগুলো এখন যতই হয়, আমরা ততই অনুপ্রেরণা পাই। এবারও সেভাবেই প্রস্তুতি চলছে। 


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর