১৯ এপ্রিল, ২০২৩ ১৫:৫৬

গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় স্বচ্ছতা চায় জবি শিক্ষক সমিতি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় স্বচ্ছতা চায় জবি শিক্ষক সমিতি

ফাইল ছবি

২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় স্বচ্ছতা চায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষক সমিতি। গুচ্ছের সকল ত্রুটি সংশোধনসহ বিগত দুই বছরের গুচ্ছের সংশ্লিষ্ট সকল খাতের আয়-ব্যয়ের তালিকা চেয়েছেন তারা। এছাড়া ভর্তি পরীক্ষায় কীভাবে খরচ করা হবে, তার সুস্পষ্ট বিধি জানতে চান। সেই সঙ্গে গুচ্ছে আবেদন ফি ৫০০ টাকা করার দাবি তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের এই সংগঠন।

বুধবার শিক্ষক সমিতির জরুরি সাধারণ সভা শেষে কার্যবিবরণী উল্লেখ করে লিখিত বক্তব্যে এসব বিষয় তুলে ধরা হয়। 

শিক্ষকরা জানান, রাষ্ট্রপতির অভিপ্রায়ে তারা সম্মান দেখিয়ে গুচ্ছের পক্ষে মতামত দিয়েছেন। তবে গুচ্ছকে স্বচ্ছ করতে কয়েকটি দাবি তুলেছেন।

লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, ভর্তির আবেদন ফি সর্বোচ্চ পাঁচশত টাকা নির্ধারণ করতে হবে। পরীক্ষা পরিচালনার জন্য অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন হলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ভর্তুকি দিতে পারে; পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত স্কোর ও মেধাক্রম অবশ্যই প্রকাশ করতে হবে; ভর্তির আবেদন ফি ব্যতীত শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন, মাইগ্রেশন, ভর্তি বাতিল বা অন্য কোনো কারণে অর্থ প্রদান করবে না; পরীক্ষা পরিচালনা, পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকাণ্ড এবং সুস্পষ্ট নীতিমালা অনতিবিলম্বে প্রণয়ন করে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলকে জানাতে হবে; ২০২০-২১ এবং ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের আয়-ব্যয়ের হিসাব দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিস্তারিত আকারে প্রকাশ করতে হবে; আসন সংখ্যার ভিত্তিতে নয় বরং গুচ্ছভুক্ত প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের সংখ্যা অনুযায়ী কেন্দ্র এবং অন্যান্য ফি সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রদান করতে হবে; ২০২০-২১ এবং ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার সম্মানী বাবদ উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রারসহ অন্যান্য কর্মকর্তা, শিক্ষকরা কোনো কাজের জন্য, কে কি পরিমাণ সম্মানী গ্রহণ করেছেন তার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ প্রকাশ করতে হবে; ভর্তির সকল প্রক্রিয়া শেষ করে ১ জুলাই ২০২৩ থেকে ক্লাস শুরু করতে হবে ও  জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নকল্পে এবং উপাচার্যের কাজের সুবিধার্থে অন্তত ৬ মাসের জন্য হলেও একটি নির্দেশনা জারি করার দাবি জানাচ্ছি যে, উপাচার্যের কক্ষে যেন কোনো শিক্ষক অপ্রয়োজনে আনাগোনা করতে না পারেন। সাক্ষাতের জন্য অনুমতি নিয়ে ঢুকবেন এবং কাজ শেষে অকারণে বসে না থেকে বের হয়ে যাবেন।

লিখিত বক্তব্যে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় আইনের সাথে প্রজ্ঞাপন সাংঘর্ষিক, এ নিয়ে প্রশ্নও আছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলেছেন মহামান্যের আদেশের উপর কোনো বিতর্ক থাকা যাবে না, তাহলে এটি মহামান্যকে অবমাননার সামিল হবে। প্রজ্ঞাপনকে সম্মান জানিয়ে ১৭ এপ্রিলে ৬৬তম বিশেষ একাডেমিক কাউন্সিলে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছের আওতায় ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার পক্ষে যে সিদ্ধান্ত হয়, তাকে আমরা সম্মান জানাচ্ছি।

প্রসঙ্গত, জরুরি এ সভায় ১১৮ জন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘ সময় ধরে এ সভা চলে। এছাড়াও সভায় প্রায় ২০ জন শিক্ষক তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর