৬ মে, ২০২৩ ১৬:০৩

হামলার অভিযোগ ছাত্রদলের, ‘খেয়েদেয়ে কী কাজ নেই’ বললো ছাত্রলীগ

অনলাইন ডেস্ক

হামলার অভিযোগ ছাত্রদলের, ‘খেয়েদেয়ে কী কাজ নেই’ বললো ছাত্রলীগ

ঢাবিতে ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ভিড় (বামে), আহত ছাত্রদলকর্মী (ডানে)

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষায় ভর্তিচ্ছুদের বরণ করতে এসে হামলার শিকার হয়েছেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। 

শনিবার ভর্তি পরীক্ষার পর ছাত্রদল ভর্তিচ্ছুদের মধ্যে ফুল ও কলম দিয়ে বরণ করে নেওয়ার পর চলে যাওয়ার সময় হাইকোর্ট মোড়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে সংগঠনটির ৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ছাত্রদল। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এ হামলা করেছেন বলে অভিযোগ তাদের।

হামলায় আহত ছাত্রদল নেতাকর্মীরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মুমিনুল ইসলাম জিসান, সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হল শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক অনিক আহমেদ, সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক সাব্বির আহমেদ ও স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক জারিফ রহমান।

ছাত্রলীগ এই হামলা করেছে অভিযোগ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘নবীন ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে আমরা ফুল ও কলম দিয়ে বরণ করে নিতে কার্জন হলে আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম করি। পরীক্ষা শেষ হলে আমাদের কার্যক্রম শেষ করে হাইকোর্ট মোড়ে এলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পেছন থেকে আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমাদের সহযোদ্ধাদের মেরে রক্তাক্ত করে। আমরা আহতদের নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও যেতে পারিনি, সেখানেও যেতে দেয়নি আমাদের।’

খোরশেদ আলম বলেন, ‘ছাত্রদল ফুল আর কলমে বিশ্বাসী আর ছাত্রলীগ অস্ত্রে বিশ্বাসী। আমরা নবীন ছাত্রদের যে কলম ও ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছি সেই কলম ও ফুল তাদের হাত থেকে কেড়ে নিয়ে ফেলে দিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতারা। তারা নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ অনুষ্ঠানেও এমন বর্বর কাজ করতে পেরেছেন। তারা কীভাবে শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করবেন। ছাত্রদল একটি সুন্দর ছাত্র সমাজ চায় আর ছাত্রলীগ চায় অস্ত্রের ঝনঝনানি।’

তবে হামলার অভিযোগ নাকচ করেছে ছাত্রলীগ। সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের কী খেয়েদেয়ে কাজ নেই? সকাল থেকে আমরা ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য ১৮টি বুথ বসিয়ে সেবা দিচ্ছি। তাদের জন্য জয় বাংলা বাইক সার্ভিস, পানি সরবরাহ করছি। আমাদের নেতাকর্মীরা ভর্তিচ্ছুদের সহায়তার কাজ নিয়েই ব্যস্ত। ছাত্রদলের ওপর হামলার কোনো কিছুতেই ছাত্রলীগের সংশ্লিষ্টতা নেই। তবে জানতে পেরেছি আজ ছাত্রদলের দুই গ্রুপের কর্মসূচি ছিল। হামলার ঘটনা ঘটে থাকলে তা তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণেই হয়েছে।’

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর