২১ মে, ২০২৩ ১৮:১৪

পাবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের দু'পক্ষের সংঘর্ষ, সভাপতি ও সম্পাদককে কারণ দর্শানো নোটিশ

পাবনা প্রতিনিধি:

পাবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের দু'পক্ষের সংঘর্ষ, সভাপতি ও সম্পাদককে কারণ দর্শানো নোটিশ

ফরিদুল ইসলাম বাবু ও নুরুল্লাহ

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বাবু ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল্লাহকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। 

শনিবার কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তাদের এ নির্দেশ দেয়া হয়। শনিবার দুপুরে পাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের দু'গ্রুপের সংঘর্ষের পর তাদের বিরুদ্ধে এ নির্দেশ দেয়া হয়।

কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার বিষয়টি আজ দুপুরে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বাবু। তিনি বলেন, সামান্য ভুল বোঝাবুঝি থেকে ঘটনাটি ঘটেছে। আমাদের সভাপতি-সম্পাদকের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। কারও উসকানিতে শিক্ষার্থীরা বিরোধে জড়াল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা কেন্দ্রের নোটিশ পেয়েছি। সাংগঠনিকভাবে সেটির জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। 

নোটিশে সংগঠন বিরোধী, গঠনতন্ত্র পরিপন্থী, অপরাধমূলক ও সংগঠনের সুনাম ক্ষুন্ন হয় এমন কাজে জড়িত থাকায় কেনো তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার উপযুক্ত লিখিত জবাব আগামী সাত (০৭) দিনের মধ্যে কেন্দ্রে জমার দিতে বলা হয়।

শনিবারের সংঘর্ষের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনার পর থেকে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের কোনো পক্ষের নেতাকেই রবিবার ক্যাম্পাসে দেখা যায়নি। তবে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। 

প্রসঙ্গত, শনিবার সকালে প্রথম বর্ষের গুচ্ছভিত্তিক ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর পাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বাবুর অনুসারী মিনহাজুল প্রান্ত ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল্লাহর অনুসারী সাব্বিরের মধ্যে মোটরসাইকেল রাখা নিয়ে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। পরীক্ষা শেষ হলে দুপুর পৌণে ২টার দিকে দুই গ্রুপ লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। থেমে থেমে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলা এই সংঘর্ষে দুই গ্রুপের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 
 
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কামাল হোসেন বলেন, ক্যাম্পাসের পরিবেশ এখন স্বাভাবিক। ঘটনার পর আমরা দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা নিজেরাই তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে। এরপরও কারও কোনো অভিযোগ থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিবাদমান দু'পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করে কড়া সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তিনি।

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর