শিরোনাম
২৪ মে, ২০২৩ ১৪:৫১

জাবির নতুন হলেও গণরুম, জানেন না প্রাধ্যক্ষ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:

জাবির নতুন হলেও গণরুম, জানেন না প্রাধ্যক্ষ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসন ও গণরুম সংস্কৃতি বিলুপ্তির জন্য অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় দশতলা বিশিষ্ট নতুন ছয়টি হল নির্মাণ করা হয়েছে। তবে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ ও বিদ্যুৎ সংযোগ না হওয়ায় গত ৩০ শে জানুয়ারি মাত্র দুটি হলে শিক্ষার্থীদেরকে উঠানো হয়। 

এদিকে উদ্বোধনের চার মাসের মধ্যেই ছেলেদের ২১ নম্বর হলে ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের তত্ত্বাবধানে গণরুম চালু করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে হলে গণরুম চালুর বিষয়টি জানতেন না বলে জানিয়েছেন হল প্রাধ্যক্ষ মো. তাজউদ্দীন সিকদার। 

সরেজমিনে দেখা যায়, হলের চতুর্থ তলার ৪২২ ও ৪২৩ নম্বর কক্ষ নিয়ে গণরুম চালু করা হয়েছে। কক্ষের খাটগুলো সরিয়ে মেঝেতে তোষক দিয়ে শয্যা তৈরি করা হয়েছে। সেখানে ১৪ জন করে মোট ২৮ জন শিক্ষার্থীকে থাকতে দেওয়া হয়েছে। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫১তম ব্যাচের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।

এদিকে, প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে অমান্য করে গোপনে গণরুম চালু করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গাফিলতি ও দায়িত্ব অবহেলাকে দুষছেন সংশ্লিষ্টরা।

গণরুমে অবস্থানকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী জানান, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য হলগুলোতে অবস্থান করছিলেন। দ্রুত আসন ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতিতে সিনিয়ররা তাদের এই হলে উঠিয়েছেন। তবে সিনিয়রদের নাম জানতে চাইলে তারা কেউই বলতে রাজি হননি।

হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হলটির প্রতিটি কক্ষে ৪ জন করে বরাদ্দ দেয়া হলেও ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জোবায়েদ আশিক ও শেখ রাজুর নির্দেশে হলটিতে গণরুম চালু করা হয়েছে। তারা দু'জনই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত। 

তবে অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে জোবায়েদ আশিক বলেন, 'বিষয়টি পুরো জানি না। তবে যতদূর শুনেছি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা নিজে থেকে এসেই থাকছে। আমি পুরো ঘটনা জেনে জানাবো।'

শেখ রাজু বলেন, 'এমন কোনো ঘটনা এখনো শুনিনি। সুতারাং গণরুম চালুর সাথে আমার জড়িত থাকার বিষয়টি সঠিক নয়।’ 

২১ নম্বর হলের প্রাধ্যক্ষ ও সহযোগী অধ্যাপক মো. তাজউদ্দীন সিকদার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, 'এ বিষয়টি জানতাম না। পরে কয়েকজন সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। বিষয়টি খোঁজ নিতে শিক্ষকদের পাঠিয়েছিলাম। তবে যতদূর জেনেছি, তারা স্থায়ীভাবে থাকার জন্য আসেনি।'

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলমকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর