২ জুন, ২০২৩ ১৮:৩৭

অস্ত্র উদ্ধার: চবিতে দোষীদের শনাক্তে তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন

চবি প্রতিনিধি

 অস্ত্র উদ্ধার: চবিতে দোষীদের শনাক্তে তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন

পরপর দু’দিন সংঘর্ষে দোষীদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনতে তিনটি আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) প্রশাসন। শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার। 

শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বিবদমান দুটি গ্রুপের দখলে থাকা হলে তল্লাশি চালায় প্রশাসন। এ সময় শাহজালাল হল ও শাহ আমানত হল থেকে দা, লোহার রড, স্ট্যাম্প, হকিস্টিকসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এতে প্রক্টরিয়াল বডি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হল প্রশাসন ও পুলিশ। তবে এতে কাউকে আটক করা হয়নি। 

গত বুধবার ক্যাম্পাসের একটি খাবার হোটেলের টেবিলে বসাকে কেন্দ্র করে সিএফসি ও সিক্সটি নাইনের কর্মীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও পরে হাতাহাতি হয়। এ ঘটনা একপর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে আহত হয় ছাত্রলীগের ৮ জন কর্মী। এ ঘটনায় আলাওল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরিদুল আলমকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে সদস্য হিসেবে আছেন শাহ আমানত হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক নির্মল কুমার শাহা এবং সদস্য সচিব হিসেবে আছেন সহকারী প্রক্টর হাসান মোহাম্মদ রোমান।   

পরদিন (বৃহস্পতিবার) বেলা একটার দিকে আমানত ও শাহজালাল হলে অবস্থানরত শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক সিক্সটি নাইন ও সিএফসি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় তারা লোহার চাপাতি, হকিস্টিক ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় প্রতিপক্ষের ওপর। প্রায় দুই ঘণ্টারও বেশি সময় চলে এ সংঘর্ষ। এতে প্রক্টর এবং সহকারী প্রক্টরসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হন। আহতদের নাম পরিচয় প্রকাশ করছে না কেউ-ই।

এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।  আব্দুর রব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দানেশ মিয়াকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। এছাড়াও সদস্য হিসেবে আছেন শাহজালাল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক জামাল উদ্দিন এবং সদস্য সচিব করা হয়েছে সহকারী প্রক্টর মোর্শেদুল আলমকে। 

দুটি উপগ্রুপের তুমুল সংঘর্ষ থামাতে ব্যস্ত প্রক্টরিয়াল বডি। গত বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে প্রক্টর অফিসে তালা লাগিয়ে দেয়। জানা গেছে, বিভিন্ন দাবি-দাওয়া পূরণ না হওয়ায় প্রক্টর অফিসে তালা লাগিয়েছে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় জড়িতদের বের করতেও তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে জাদুঘর পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বশির আহাম্মদকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। এছাড়াও সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে প্রীতিলতা হলের প্রভোস্ট আব্দুল্লাহ আল মামুনকে এবং সদস্য সচিব করা হয়েছে গোপনীয় শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার সৈয়দ ফজলুল করিমকে। 

হল তল্লাশির বিষয়ে প্রক্টর নূরুল আজিম সিকদার বলেন, আমরা হল তল্লাশি চালিয়েছি রাত ১২টা থেকে। তবে কাউকে আটক করতে পারিনি। এ সময় বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি গঠন করা নিয়ে তিনি বলেন, আমরা ভিন্ন ভিন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করেছি যাতে দোষীদের শনাক্ত করে বিচার করা যায়। তদন্ত কমিটিকে তিন কার্য দিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। 

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর