১৫ জুন, ২০২৩ ১৯:১০
ঢাবিতে বাজেট বিষয়ক সেমিনার

ঢাবিতে সেমিনার: ট্যাক্স-জিডিপি অনুপাত বৃদ্ধি ও শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়ানোর তাগিদ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

ঢাবিতে সেমিনার:
ট্যাক্স-জিডিপি অনুপাত বৃদ্ধি ও শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়ানোর তাগিদ

 

ট্যাক্স-জিডিপি অনুপাতের দিক দিয়ে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে তলানিতে রয়েছে। কীভাবে অধিক পরিমাণ মানুষকে সংযুক্ত করে এই অনুপাত বাড়ানো যায় সেটি ঠিক করতে হবে। বাজেটে শিক্ষাখাতে বরাদ্দের পরিমাণ আরও বৃদ্ধি করতে হবে।

বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ‘বাজেট ২০২৩-২৪: শিক্ষা ও কর্মসংস্থান’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার অন বাজেট এন্ড পলিসির উদ্যোগে আয়োজিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। 

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ও সেন্টারের পরিচালক ড. এম. আবু ইউসুফ। এছাড়া সম্মানিত অতিথি হিসেবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান।

মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, এবারের বাজেটে ভাল-মন্দ দু’দিকই আছে। শিক্ষাখাতে বরাদ্দ কমেছে, এটা ঠিক। কিন্তু স্বাস্থ্য, অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, সামাজিক সুরক্ষা খাতেও পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিতে হয়। তা নাহলে অন্যদের সাথে বৈষম্য হয়ে যাবে। আমাদের উদ্দেশ্য দারিদ্র্য ও বৈষম্য কমিয়ে সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করা। আমরা এখনো পুরোপুরি সফল হইনি। পৃথিবীর কোনো দেশ পুরোপুরি বৈষম্য কমাতে পারেনি। আমেরিকাতেও বৈষম্য আছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, বিদেশি সংস্থা থেকে আমরা ঋণ নিয়েছি। এটা নিয়ে অনেকে সমালোচনা করছে। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না পুঁজিবাদী অর্থনীতি ঋণ ছাড়া চলতে পারবে না। আমাদেরও অনেক বিনিয়োগ প্রয়োজন। সেজন্য আমরা ঋণ নিচ্ছি। এটা কোনো সাহায্য না। এটা আমাদের অধিকার। আমেরিকাও ঋণ নেয়। শিক্ষা উপকরণের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সাথে আমরা আলোচনা করবো কীভাবে এ সমস্যার সমাধান করা যায়। 

ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, শিক্ষা ও কর্মসংস্থান পরস্পর আন্তঃনির্ভরশীল। শিক্ষার গুণগতমান ও প্রায়োগিক ক্ষেত্র বৃদ্ধি করা গেলে দক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরি করা যাবে এবং নতুন কর্মসংস্থানও তৈরি হবে। নতুন নতুন গবেষণা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নকে আরও এগিয়ে নিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। এজন্য জাতীয় বাজেটে শিক্ষা ও গবেষণা খাতে বরাদ্দ আরও বৃদ্ধি করতে হবে।

মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনায় অংশ নেন উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর এবং এটুআই প্রকল্পের পরিচালক ড. দেওয়ান এম হুমায়ুন কবির। 

অধ্যাপক রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর বলেন, উন্নয়নের গল্প না করে কীভাবে সংগ্রাম করে টিকে থাকতে হবে, সামনে এগিয়ে যেতে হবে সেটি নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। সেজন্য আগে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর স্থবিরতা কাটিয়ে সেগুলোকে সচল করতে হবে। দায়বদ্ধ ও জনকেন্দ্রিক রাজনৈতিক বন্দোবস্ত নিশ্চিত করতে হবে।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর